ঢাকা, শনিবার, ৫ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনসিটি নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন: ইকবাল হোসেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:১৭, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
এনসিটি নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন: ইকবাল হোসেন ফুল দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ল্যাসিং আনল্যাসিং শ্রমিক ইউনিয়নের নবনিযুক্তদের বরণ করেন সংগঠনের নেতারা।

চট্টগ্রাম: ‘এনসিটি নিয়ে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বিদেশিদের দেওয়ার জন্য। আমরা অন্তবর্তী সরকারকে অনুরোধ করবো বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

বিদেশি কোনো কোম্পানিকে বন্দর দেবেন না। ডিপি ওয়ার্ল্ডকে বন্দর দেবেন না।
চট্টগ্রাম বন্দর বর্তমানে যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেভাবে পরিচালিত হবে। এনসিটি বিদেশিদের দিয়ে দিলে যদি চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে যায় তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে, শ্রমিক-কর্মচারীরা নেবে না। ’

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ট্র্যান্ড রোডের মিষ্টিমুখ কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম বন্দর ল্যাসিং আনল্যাসিং শ্রমিক ইউনিয়নের শপথ অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিলে সংগঠন সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, আমরা এক মুহূর্তের জন্য বন্দর বন্ধ হতে দিইনি, দেব না। কারণ চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড। বন্দর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। আমি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাব, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। জাতীয় অর্থনীতিতে বন্দরের শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য। বার্থওয়ারি শ্রমিকদের কিছু দাবি বাকি আছে। আমরা কিছু দাবি পূরণ করেছি। দাবিগুলো লিখিতভাবে অ্যাসোসিয়েশনকে জানাবো। যাতে বন্দরে শ্রম অসন্তোষ না হয়। বিগত সরকার ১৭ বছর বন্দরের শ্রমিক নেতাদের গলা চেপে ধরেছে। তাদের কথা বলতে দেয়নি। তারা এক সংগঠনের নামে শ্রমিক নেতাদের কণ্ঠরোধ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। তারা এখন বন্দর ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে বন্দর সচল রেখেছি।  

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, বন্দরের ল্যাসিং আনল্যাসিং শ্রমিকরা অনেকভাবে অবহেলিত।  বার্থ অপারেটররা কালক্ষেপণ করে ন্যায্য পাওনা দিতে চায় না। আপনারা ভালো হয়ে যান। আমাদের ন্যায্য পাওনা দিয়ে দেবেন। আমাদের সেফটি সরঞ্জাম, পরিচয়পত্র দেবেন। আট ঘণ্টায় ২৫ কনটেইনারের বেশি লোড আনলোডকে প্রোডাকশন বলা হয়। আমাদের প্রাণের দাবি ল্যাসিং শ্রমিকদের প্রোডাকশন অবশ্যই দিয়ে দিতে হবে।  

তিনি বলেন, বন্দরের নব্বই শতাংশ রাজস্ব আয় হয় কনটেইনার বার্থের ল্যাসিং আনল্যাসিং শ্রমিকদের হাত দিয়ে। সেই শ্রমিকরা অবহেলিত। আমরা এক মায়ের সন্তান হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে সব দাবি আদায় করবো।  

তিনি বার্থ অপারেটরদের শ্রমিকদের সেফটি পোশাক, বর্ষাকালে রেইন কোট, শীতে শীতকালীন পোশাক দেওয়ার দাবি জানান।  

নবনিযুক্তদের শপথবাক্য পাঠ করান সংগঠন সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন। শপথ নিয়েছেন নবনিযুক্ত কার্যকরী সভাপতি মো. লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি মো. সবুজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুর রহিম, দপ্তর সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ ও কার্যকরী সদস্য জামাল উদ্দিন।  

ফুল দিয়ে তাদের বরণ করেন সংগঠনের নেতারা।

দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম।  

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।