ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০০ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জয়েন করে দেখলাম ডেঞ্জারাস কার্গো পড়ে আছে ১৪ বছর: এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৮, জুলাই ২৫, ২০২৫
জয়েন করে দেখলাম ডেঞ্জারাস কার্গো পড়ে আছে ১৪ বছর: এনবিআর চেয়ারম্যান এনবিআর চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, আমি জয়েন করার পর পর দেখলাম কিছু ডেঞ্জারাস কার্গো পড়ে আছে ১৪ বছর ধরে। সেগুলো আমরা রিমোভ করেছি।

খেয়াল করেন, এগুলো বাংলাদেশের ডলার খরচ করে আমদানি হয়েছে। যেকোনো কারণে হোক এগুলো যায়নি।
এটা কিন্তু আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। যেসব গাড়ি পোর্টে ইয়ার্ডে থেকে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো ডলার দিয়ে আমদানি করতে হয়েছে। রাইট টাইমে অকশন করে রাস্তায় ছেড়ে দিতাম তাহলে পরে আবার এ পরিমাণ গাড়ি আমদানি করতে হতো না। এ কথাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যত দ্রুত সম্ভব যখনকার কাজ তখন যাতে শেষ করতে পারি।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।  

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বন্দরে অনেক কনটেইনার, প্রায় ৬ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন পড়ে আছে। এগুলো অকশন করে চট্টগ্রাম বন্দরকে পুরোপুরি ফাঁকা করার (বিশেষ করে যেগুলো দীর্ঘদিন পড়ে আছে) উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা প্রায় ১০০ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। ৯০ শতাংশ ইনভেন্ট্রি হয়েছে। বাকিগুলো আগামী চার মাসে কমপ্লিট হয়ে যাবে। একটা অকশনের ঘোষণা চলে এসেছে, সম্ভবত ৬ আগস্ট অকশন শেষ হবে।  

কাস্টম কমিশনার মহোদয়কে বলেছি, যদিও ব্যাপক প্রচারণা হয়েছে। অনলাইনে গেছে, পত্রিকায় গেছে। তারপরও অকশন ম্যানেজমেন্টে যারা জড়িত আছে তাদের বলেছি, চট্টগ্রাম শহরে মাইকিং করে ঘোষণা দিতে। যাতে প্রত্যেকে জানে চট্টগ্রাম বন্দরে বড় অকশন চালু হয়েছে। যাতে যারা অংশ নিতে চায় সহজে অংশ নিতে পারে। এখানে আসা লাগবে না। যার যার মতো ঘরে বসে অনলাইনে পে অর্ডার জমা দিতে পারবে। ব্যাংক হিসাবের একটা তথ্য দিতে হবে। মানি রিসিট চলে আসবে। আপনি টেন্ডার জিতলে ভালো, নয়তো আপনার টাকা কাস্টম হাউস থেকে ফেরত চলে যাবে। এটাও আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করতে চাই। এখানে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রথম নিলামেই আমরা দিয়ে দেব। সর্বোচ্চ দামে দিয়ে দেব। নিলাম করতে করতে সময় নষ্ট করা এটা যাতে না হয়। এটা কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। আমরা কিন্তু এ রিস্ক নিয়েছি।  

তিনি বলেন, এমপি মহোদয়দের গাড়ি অকশনে দিয়েছি। অকশনে আশানুরূপ রেজাল্ট পােইনি। এখন আমরা কিছু বিকল্প চিন্তা করছি। কোনো কোনো সরকারি সংস্থা অফার করেছে উনারা ৬০ শতাংশ দামে নিতে চায়। কয়েকটা সংস্থা আছে, উনাদের দিতে পারি। এর বাইরে আমাদের চিন্তা আছে আমাদের নীতি নির্ধারণী মহলে আলোচনা করব। আমরা জলের দরে এগুলো বিক্রি করতে চাই না। একেকটি গাড়ি ৮-৯ কোটি টাকা। যদি আমরা উপযুক্ত দাম না পাই তাহলে আরও ভালো ব্যবহার কীভাবে করা যায় সেটা আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুলো ব্যবহার করবো। ডেফিনেটলি এগুলো রোদে পুড়ে বছরের পর বছর ফেলে রেখে স্ক্র্যাপ করার পক্ষে না। এগুলো ব্যবহার করতে হবে। এটা আমরা করে ফেলব। অচিরেই উপরমহলে নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা নেব। আমাদের মাথায় কিছু ভালো প্ল্যান আছে। যখন কাজ হবে তখন দেখতে পাবেন।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।