ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ জুলাই ২০২৫, ২৮ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যার্থী পরিষদের যাত্রা ‍শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩৫, জুলাই ২৩, ২০২৫
সুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যার্থী পরিষদের যাত্রা ‍শুরু

চট্টগ্রাম: শুদ্ধ সংগীত লালন ও চর্চার লক্ষ্যে নগরে যাত্রা শুরু হলো সুকণ্ঠ সংগীত বিদ্যার্থী পরিষদ, বাংলাদেশ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের।  

বুধবার (২৩ জুলাই) থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান।

‘শুদ্ধ সংগীতে চিত্ত হোক বিকশিত’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে অনুষ্ঠান শুরু হয় পঙ্কজ দেব অপুর লেখা ও সুব্রত দাশ অনুজের সুরারোপিত থিম সংগীতের মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ উদ্বোধন করেন শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুব্রত দাশ অনুজ।

সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক অরুণ নাথ ও স্বাগত বক্তব্যে দেন সংগঠনের সদস্যসচিব রাতুল বৈদ্য। প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ছিলেন বাচিক শিল্পী প্রবীর পাল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রীতা দত্ত। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের সংগীত প্রযোজক পাপিয়া আহমেদ এবং গীতিকবি পঙ্কজ দেব অপু।  

আলোচনার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। যেখানে ছিল রবীন্দ্র, নজরুল, লালন, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গানের একক, দ্বৈত ও ত্রয়ী পরিবেশনা। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় মহিমা দেব, স্নেহাশ্রী চৌধুরী ও সেঁজুতি দাশের কণ্ঠে দেশাত্মবোধক ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ গান দিয়ে। এরপর শ্যামলী পাল গেয়ে শোনান অতুল প্রসাদের ‘শ্রাবণ ঝুলাতে বাদল রাতে’ যা দর্শকদের আবেগ ছুঁয়ে যায়। নজরুলের ‘চঞ্চল শ্যামল এলো গগনে’ পরিবেশন করেন জয়শ্রী ধর, অদিতি বিশ্বাস ও অনন্যা চৌধুরী; যেটি ছিল প্রাণবন্ত পরিবেশনার অনন্য উদাহরণ।

আধ্যাত্মিক গান করেন ঊর্বশী চক্রবর্তী ‘যদি ত্বরিতে বাসনা থাকে’, নিবেচিতা সাহা ‘হেলায় হেলায় দিন বয়ে যায়’, ও প্রণয় ধর ‘কে বা জাগে কেবা ঘুমায়’ এ তিনটি গান যেন দর্শকদের নিয়ে যায় সুরের নির্জন কোনো আত্মিক দ্বীপে। এরপর আধুনিক গানে আসেন অনিন্দিতা ভট্টাচার্য্য; তাঁর ‘ও বারে বারে পোড়া বাঁশি’ পরিবেশনা ছিল অনন্য। দ্বৈত পরিবেশনায় তন্দ্রা সিংহ ও নীলাদ্রি সেনগুপ্ত ‘শাওন রাতে যদি’, প্রিয়ম বিশ্বাস ও ঋতু সাহা ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, এবং কৌশিক দত্ত ও শ্রাবন্তী ধর ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’ সব গানেই ছিল প্রশান্ত সুর আর আবেগের দোলা।

একের পর এক মুগ্ধ করেন প্রমা অবন্তি ‘ভুলিতে পারিনা তারে’, দীপান্ত ভট্টাচার্য্য ‘আমার বাংলাদেশের একতারা সুর’, সমাপ্তি বড়ুয়া ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, রিন্টু দাশ ‘এমনও তো প্রেম হয়’ এবং রীতিশা চৌধুরী ‘মেঘ তুমি বৃষ্টিকে বল’। আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিলেন লিটন কান্তি সরকার, যিনি শব্দচয়ন ও ছন্দময় উপস্থাপনায় শ্রোতাদের নান্দনিক উচ্চতায় নিয়ে যান।

যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন নিখিলেশ বড়ুয়া (কিবোর্ড), রণী চৌধুরী (অক্টপ্যাড), প্রীতম আচার্য্য (তবলা), পলাশ আচার্য্য (ঢোলক), প্রাণেশ্বর ভট্টাচার্য্য (বাঁশি), তন্ময় বড়ুয়া (বেইজ গিটার) ও বিজয় দাশ (লিড গিটার)।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।