ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের অনিয়মের তদন্ত দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের অনিয়মের তদন্ত দাবি ...

চট্টগ্রাম: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নামে বিগত সরকারের সময়ে নানা অনিয়মের তদন্ত ও বিচার, নির্বিচারে হাতি ও বন্যপ্রাণী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ।  

বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান সংগঠনের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন।

 

তিনি চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিমের বদলি বাণিজ্য, লুটপাট, দুর্নীতিসহ সব অপকর্ম তদন্ত করে অবিলম্বে তাকে অপসারণ এবং প্রাণী কল্যাণ আইনের ১৮ ধারা সংশোধনেরও দাবি জানান।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, লায়ন হালিমা চৌধুরী, শরীফুল ইসলাম জুয়েল, নুরুল ইসলাম নুরু, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে হাতি সুরক্ষা প্রকল্পে বাণিজ্যের আড়ালে গত ১০ বছরে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও শেরপুরে মারা যাওয়া শতাধিক হাতির পোস্টমর্টেম ও ফরেনসিক রিপোর্ট এবং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের মামলার সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভূমি, বন, পরিবেশ, শিল্প ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে দেওয়া ভূমি বন্ধোবস্তি বাতিল, আনোয়ারার দেয়াঙ পাহাড়ের হাতিসহ বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য নিশ্চিত এবং জৈব নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাসহ দেশের সব চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণী উদ্ধার করার দাবি জানানো হয়েছে।

আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য এদেশের প্রকৃতি পরিবেশ জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা। কিন্তু বিগত ১৭ বছর ধরে যারা এদেশের বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার নামে প্রকল্প বাণিজ্য করে দেশের বন ও বন্যপ্রাণীদের হুমকিতে ফেলেছে জুলাই বিপ্লবের পরও একই চক্র দেশের বন ও বন্যপ্রাণীর অভিভাবক সেজে লুটতরাজ চালাচ্ছে যা একজন সুস্থ বিবেকবান মানুষ হিসেবে আমরা কখনো মেনে নিতে পারি না। তাই শত শত প্রকল্প করে জনগণের ট্যাক্সের হাজার কোটি টাকা যারা হাতিয়ে নিয়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন জরুরি বলে মনে করছি।  

সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৪-৩০ এপ্রিল গণসাক্ষর কর্মসূচি, আগামী ৫ মে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন, চেয়ারম্যান বরাবর ডাকযোগে সারাদেশ থেকে পোস্টকার্ড পাঠানো, ১৪ মে চট্টগ্রাম নন্দনকানন কার্যালয় ঘেরাও, ১৭ মে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং ২০ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ 
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।