চট্টগ্রাম: আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই বর্ষবিদায় বা চৈত্র সংক্রান্তি। ঘটনাবহুল এ বছরটি ছিল সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নায় ভরা।
বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরোনোকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। রোববার (১৩ এপ্রিল) বর্ষ বিদায়ের উপলক্ষে কেন্দ্র করে নগরের সিআরবিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নববর্ষ উদযাপন কমিটি। এছাড়া নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়েও আছে আয়োজন।
এছাড়া চৈত্র সংক্রান্তিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় দোকানপাট ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে বিগত বছরের যত সব জঞ্জাল। পরদিনই খোলা হবে ব্যবসায়িক হিসাবনিকাশের নতুন খাতা ‘হালখাতা’। খরিদ্দারদের কাছে বকেয়া টাকা তুলতে বছরের প্রথম দিনটিকে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার রেওয়াজ বহু বছরের পুরোনো। মূলত আজকের দিন থেকেই হালখাতা নিয়ে নতুন বছরের অপেক্ষায় থাকেন ব্যবসায়ীরা। পুরোনো বছরের হিসাবনিকাশ ঘুচিয়ে ফেলে ক্রেতার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরিতে চলে মিষ্টিমুখ। যদিও চিরায়ত বাঙালির এ রীতি হারিয়ে যেতে বসেছে প্রযুক্তির এ যুগে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বর্ষবরণে প্রস্তুত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। এবার নগরের ডিসি হিল, সিআরবি শিরীষতলা ও চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে নববর্ষের অনুষ্ঠান হবে।
নগরের বাদশা মিয়া সড়কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিল্পী রশিদ চৌধুরী আর্ট গ্যালারি চত্বরে শিক্ষার্থীরা তৈরি করছেন বর্ণিল রঙে আঁকা নানা প্রতিকৃতি। যার মধ্যে রয়েছে মাছ, ঘোড়া ও মোরগের প্রতিকৃতি, যা থাকবে পহেলা বৈশাখ সকালে বের হওয়া শোভাযাত্রায়। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের আঁচড়।
জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে। সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ‘সীমিত পরিসরে’ অনুষ্ঠান চলবে। বর্ষবরণের এই আয়োজনে অংশ নেবে ৫০টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সিআরবিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে। অনুষ্ঠান চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এতে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং আবৃত্তি ও নৃত্যদল তাদের দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করবে।
এদিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে ঘিরে নগর পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে অন্য ইউনিটগুলোও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
এমআর/পিডি/টিসি