চাকরি পাওয়া কঠিন, কিন্তু ভাইভায় বাজিমাত করলে তা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। মুখোমুখি সাক্ষাৎকার এখনো নিয়োগপ্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
প্রতিষ্ঠান ও সাক্ষাৎকারগ্রহীতার সম্পর্কে খোঁজ নিন
যেখানে আবেদন করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন, লক্ষ্য, মালিকানা, আর্থিক অবস্থা, প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান—সবই জেনে নিন। ওয়েবসাইট ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করুন।
সাক্ষাৎকারগ্রহীতার পদবি ও ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা রাখলে প্রশ্নোত্তরে সুবিধা হবে। শেষ মুহূর্তে সুযোগ পেলে এমন প্রশ্ন করুন যাতে বোঝা যায় আপনি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত।
অনুশীলন, অনুশীলন, অনুশীলন
সম্ভাব্য প্রশ্ন ও উত্তর আগে থেকে প্রস্তুত করুন। উত্তরগুলো তত্ত্বের মতো না হয়ে হোক অভিজ্ঞতার গল্পের মতো। নির্দিষ্ট উদাহরণ দিয়ে দক্ষতা প্রমাণ করুন।
পোশাকে প্রথম ইমপ্রেশন
ইন্টারভিউতে হালকা, পরিপাটি ও আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন—সাদা বা হালকা নীল সবচেয়ে নিরাপদ। পোশাক যেন কুঁচকানো না হয়। জিন্স-টি শার্ট না পরা ভালো।
আত্মবিশ্বাসী করমর্দন
প্রথম হাত মেলাতেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়। না খুব নরম, না খুব শক্ত—মাঝামাঝি চাপ দিন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। প্রশ্নের উত্তর দিন চোখে চোখ রেখে।
হাসিখুশি ও ভদ্র ভঙ্গি
নার্ভাস হলেও মুখে হাসি রাখুন। সোজা হয়ে বসুন, কাত হয়ে নয়। হাসিমুখে উত্তর দেওয়া আপনাকে সহজ-সরল ও আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করবে।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ভাইভা কক্ষে প্রবেশের আগে কয়েকবার গভীর শ্বাস নিন। নার্ভাসনেস কমিয়ে মনোযোগ দিন প্রস্তুত উত্তরগুলোর দিকে। নিজেকে শান্ত রাখুন। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যেন কোনো কথা আপনার মুখে আটকে না যায়।
ক্যারিশমা দেখান
কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ, ঝোঁক ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরুন। কেন কাজটি চান ও কিভাবে উপকৃত হবেন, তা স্পষ্ট করে বলুন।
হাল ছাড়বেন না
কোনো প্রশ্নের উত্তর না জানলেও হতাশ হবেন না। শেষ মুহূর্তের সঠিক উত্তর আপনার ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
ভাইভা শুধু দক্ষতা নয়, ব্যক্তিত্ব ও প্রস্তুতিরও পরীক্ষা। সঠিক কৌশল মেনে চললে সেরা প্রার্থী হয়ে ওঠা আপনার হাতের নাগালেই।
এনডি