ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

আইসিএল’র দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি করেছে দুদক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৮, মার্চ ২০, ২০১৩
আইসিএল’র দুর্নীতি অনুসন্ধানে কমিটি করেছে দুদক

ঢাকা: আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (আইসিএল) দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

বুধবার বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম গঠন করেন।

বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

দুদকের অনুসন্ধান টিম জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে ৫ সদস্যের অনুসন্ধান দল আইসিএলের দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে। আগামী সপ্তাহে নোটিশ পাঠানো হবে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

আইসিএল ২০০১ সাল থেকে দ্বিগুণ মুনাফার লোভ দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে হজ আমানত, ডিপিএস, মাসিক মুনাফা, দ্বিগুণ বৃদ্ধি আমানত, শিক্ষা আমানত, আবাসন আমানত, ব্যবসায়িক আমানত, দেনমোহর আমানত, কোটিপতি ডিপোজিট স্কিম, লাখপতি ডিপোজিট স্কিম প্রকল্পের নামে অর্থ সংগ্রহ করে।

গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানতের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকার বেশি।
 
অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এমডি শফিকুর রহমানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী ও আইসিএল গ্রুপের পরিচালক কাজী সামসুন নাহার মিনা, শ্যালক ও পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম, ভাগ্নে ও পরিচালক শেখ আহামেদ এবং ঘনিষ্ট বন্ধু পরিচালক এসএম মোর্শেদ জুয়েল।

আইসিএল গ্রুপের নাম সর্বস্ব ১৩টি প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখেই উধাও হয়ে যান গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও মূল উদ্যোক্তা শফিকুর রহমানসহ পরিচালকরা।

বর্তমানে তালা ঝুলছে রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৬টি শাখা কার্যালয়ে। প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহক তাদের সর্বস্ব খুইয়ে এখন দিশেহারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৩
এডিএ/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।