আগরতলা, (ত্রিপুরা): ঋতুচক্রের নিয়ম মেনে ত্রিপুরা থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয় তাই বর্ষার পাশাপাশি শরৎকালেরও বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
এখন হেমন্ত ঋতু চলছে। তাই সকাল-বিকেল উত্তরে হাওয়ায় হালকা শীতের পরশ লাগে। শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকায় গেলে সকাল-সন্ধ্যা ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুর দেখা মেলে, আবার কোথাও কোথাও কুয়াশাও নামে।
আগরতলাস্থিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধিকর্তা দিলীপ সাহা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ২৩ অক্টোবর (শনিবার) রাজ্য থেকে বর্ষা পুরোপুরিভাবে বিদায় নিয়েছে। তাদের ভাষায় এখন চলছে ট্রানজেশন পিরিয়ড অর্থাৎ পরিবর্তনের কাল, এই সময় প্রতিদিনই একটু একটু করে দৈনিক গড় তাপমাত্রা কমতে থাকবে। সাধারণত রাজ্যে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে শীত নামে।
সেই অনুসারে পূর্বাভাস বলছে, এবছরও এই সময়ে রাজ্যে পুরোপুরি শীত আসবে এবং জাঁকিয়ে পড়বে মোটামুটিভাবে শীতের স্থায়িত্ব থাকবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ।

অতীতে শীতকালে ত্রিপুরার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নেমেছে। বিশেষ কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে রাজ্যের তাপমাত্রা এত নিচে নামে। এবছরও যদি এমন কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তবে, তাপমাত্রার পারদ ডিগ্রিতে নামতে পারে। এমনিতে শীতকালে রাজ্যে বৃষ্টিপাত হয় না তবে, যদি নিম্নচাপসহ অন্য কোনো ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
এবছর রাজ্যে বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলেও জানা গেছে। রাজ্যে শীত পুরোপুরি জাঁকিয়ে পড়লে কুয়াশার তীব্রতাও বাড়বে। এখন রাজধানীসহ রাজ্যের অন্যান্য শহরাঞ্চলে কুয়াশা দেখা না গেলেও শহরতলী এবং গ্রামীণ এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশা দেখা মিলছে। এখন দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ১৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং প্রতিদিন গড় তাপমাত্রার পারদ একটু একটু করে নিচের দিকে নামছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
এসসিএন/এএটি