রাঙামাটি: বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ার কারণে ডুবে যাওয়া ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি দুই মাস ২৩ দিন পর ভেসে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের নৌযান ঘাটের টোল আদায়কারী মো. ফখরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সেতুটির পাটাতন ভেসে ওঠে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেতুর পাটাতন মোছা ও মেরামতের কাজ করেছেন পর্যটন কর্তৃপক্ষের শ্রমিকরা। সেতুতে পর্যটকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আপাতত পর্যটকদের কাছ থেকে টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে না।
পর্যটন করপোরেশনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে সেতুটি রং করা হবে। ঝুলন্ত সেতুটির ক্যাবলও পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটক শামীম খান বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে রাঙামাটি ঘুরতে আসছি। কিন্তু ভেসে ওঠা ঝুলন্ত সেতু দেখতে পাব সেটা চিন্তা করিনি। এটা আমাদের সৌভাগ্য, রাঙামাটি ছাড়ার আগে ঝুলন্ত সেতু দেখে যেতে পারলাম।
ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, ঝুলন্ত সেতু ভেসে ওঠায় আমরা খুশি। আমাদের ব্যবসা আবারও চাঙ্গা হবে।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে সেতু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। পর্যটকরা সেতুতে চলাচল করছে। তবে ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে আজ টিকিটের মূল্য নিচ্ছি না। শুক্রবার থেকে পর্যটকদের কাছ থেকে টিকিটের মূল্য নেওয়া হবে।
প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক এ ঝুলন্ত সেতুটি দেখতে রাঙামাটিতে ছুটে আসেন। পর্যটন করপোরেশনও এ সেতু থেকে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।
স্থানীয় ও পর্যটকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেতুটি যেন আর উঁচু করা হয় যাতে হ্রদের পানিতে তলিয়ে না যায়। সেতুটি সংস্কারে চলতি বছরে পর্যটন করপোরেশন একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে গেলে ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতুটি। এ বছর ৩০ জুলাই থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানির নিচে ডুবে ছিল সেতুটি।
এসআরএস