ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

ফের রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারো মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৮, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫
ফের রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারো মানুষ রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ফের রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু এবং বরকল উপজেলার বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ডুবে গেছে এসব এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি ফসলি জমি ও বীজতলা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়ন, মাস্টারপাড়া, মধ্যমপাড়া, হাজীপাড়া, মাদরাসাপাড়া, এফ ব্লক, বটতলী, আমতলী, গুচ্ছগ্রামসহ তৎসংলগ্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।

বাঘাইছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল মাবুদ বলেন, কাপ্তাই বাঁধে অতিরিক্ত পানি আটকে রাখার কারণে বাঘাইছড়ি উপজেলার হাজারো পরিবার পানিবন্দি ও বন্যায় কবলিত হয়েছে। দুই–তিন মাসে চারবারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবারগুলো।

উন্নত বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আশা করবো, অগ্রিম অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। মানুষের চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন জরুরি হলেও যদি মানুষ বাঁচতে না পারে, তাহলে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন দিয়ে আমরা কী করব—এখন সেটাই জনসাধারণের প্রশ্ন।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী বলেন, হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে জলকপাটগুলো সাড়ে ৩ ফুট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে সেকেন্ডে ৬৩ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, হ্রদে বর্তমানে পানি আছে ১০৮ দশমিক ৭৪ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে এবং এতে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় গত ২০ আগস্ট রাত ৮টা থেকে ১৬ জলকপাট খুলে পানি ছাড়া হয়েছিল। একটানা চারদিন পানি ছাড়ার পর ২৩ আগস্ট বিকেল ৫টায় পানি ছাড়া বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এর আগে গত ৪ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের ১৬ জলকপাট খুলে পানি ছাড়া হয়েছিল। একটানা আটদিন পানি ছাড়ার পর ১২ আগস্ট সকাল ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের জলকপাটগুলো দিয়ে পানি ছাড়া বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।