ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

সেবা না দিলে দৌড়ের ওপর রাখা হবে: সিলেটের ডিসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৯, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫
সেবা না দিলে দৌড়ের ওপর রাখা হবে: সিলেটের ডিসি কথা বলছেন ডিসি মো. সারওয়ার আলম।

কথা একটাই সেবা দিতে হবে, যিনি কাজ করবেন না, তাকে দৌড়ের ওপর রাখা হবে, চলে যেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, আগামীকাল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবো।

হাসপাতালের নোংরা পরিবেশের কারণে হাঁটা যায় না। আমরা আশা করছি, স্বাস্থ্যসেবা একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবো। স্বাস্থ্যসেবাকে ঠিক করতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টম্বর) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিসিকের ওয়ার্ডগুলোতে প্রশাসক দিয়ে চালানোয় নাগরিক সেবা ব্যাহতের বিষয়ে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে সাহস নিয়ে কাজ করেন। সরকারি কর্মকর্তা সেভাবে করতে পারেন না, তারা ক্যারিয়ারের চিন্তা করেন।  

তিনি বলেন, যে কাজ করবে না, তাকে দৌড়ের ওপর থাকতে হবে। এ দেশের মানুষকে ব্রিটিশ, পাকিস্তান শাসন করেছে। এখন দপ্তরে গেলে আপনিও শাসক হয়ে যাবেন, তা হয় না, সেবা দিতে হবে। এ ছাড়া কোন কোন জিনিসে ভেজাল হচ্ছে, প্রতিমাসে একটি মিটিং করবো, সে মিটিংয়ে আমরা পর্যবেক্ষণে রাখবো। তাছাড়া নাগরিক সেবা ও উন্নয়নে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, দেখা দরকার। আমিতো সবকিছু পারবো না। তবে কাজ করার জন্য আমি এখানে এসেছি। মানুষের প্রত্যাশা, ভালোবাসা যতটুকু পেয়েছি, কাজের মাধ্যমে দোয়া পেতে চাই।

সাংবাদিকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ক্বীন ব্রিজ সিলেটের ঐতিহ্য। ক্বীন ব্রিজে হকার বসতে দেওয়া হবে না। এটি মানুষের হাঁটাচলার রাস্তা হবে। এখন মোটরসাইকেল চলাচল করে। ব্রিজে আর মোটরসাইকেলও উঠতে দেওয়া হবে না।

আজকের মতবিনিময় সভায় আলী আমজদের ঘড়িঘরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, সিলেটের যে কটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে আলী আমজদের ঘড়ি অন্যতম। এই ঘড়িঘরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আপত্তি উঠায় ঘড়িঘর থেকে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশপাশে অন্য কোথাও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।  

ডিসি সারওয়ার বলেন, চাঁদনীঘাটে সুরমা নদীর তীরে ট্রাক পাকিং করে রাখা হয়। ফলে এইখানে যা ঘুরতে আসেন তারা দুর্ভোগে পড়েন। এখন থেকে এখানে আর ট্রাক পার্কিং করতে দেওয়া হবে না।

আগামী শনিবার থেকেই এই এলাকায় পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

নগরের সড়ক ও ফুটপাত হকারদের দখলে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে হকারদের পুনর্বাসনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। একটি জায়গাও নির্ধারণ করা আছে। এটি আবার কার্যকর করার উদ্যোগ নেবো। ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া জনসাধারণের অবাদ তথ্য প্রবাহের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়ন সচল করা হবে বলেও জানান নবাগত জেলা প্রশাসক।

এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।