যশোর: যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে চরম হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার একজন ইউপি মেম্বারকে প্রকাশে মারপিটের সময় তার চিৎকারে আশপাশ থেকে মানুষজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সে সময় ঘটনাস্থলে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তিনজনকে হেফাজতে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করার পর তিনজনকেই আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
উদ্ধার জনপ্রতিনিধির নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি মহেশপুরের কাজীরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর। তার বাড়ি উপজেলার ভগবতীতলা গ্রামে।
আটক দুজন হলেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার জাল ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার জসিম এবং তার ভাইপো হৃদয়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, জসিম, হৃদয় এবং শফিকুলসহ পাঁচজন ঘটনার সময় যশোরের দড়াটানা ভৈরব হোটেলে খেতে যান। খাওয়া শেষে শফিকুল বলতে থাকেন ‘আমাকে বাঁচান, এরা আমাকে অপহরণ করে নিয়ে এসেছে, এদের কাছে অস্ত্র আছে’।
এসময় জসিম ও তার লোকজন হোটেলের সামনে শফিকুলকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা শফিকুলকে প্রাইভেটকারে তোলার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে দুইজন পালিয়ে যান। জনতা জসিম ও তার ভাইপো হৃদয়কে আটক করেন। উদ্ধার করেন শফিকুলকে।
জসিমের দাবি, তিনি শফিকুলের কাছে আড়াই লাখ টাকা পাবেন। তবে, তিনি এর কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
অন্যদিকে শফিকুলের দাবি, মাছ ধরার জালের ব্যবসার পাশাপাশি জসিম ফেনসিডিল চোরাচালানের সাথে জড়িত। সম্প্রতি যৌথবাহিনী তার এলাকা থেকে জসিমের ফেনসিডিলের একটি চালান আটক করেছে। এটার জন্য জসিমকে দায়ী করছেন শফিকুলকে। সে কারণে অপহরণের মাধ্যমে তিনি টাকা আদায় করতে চান।
স্থানীয়দের কাছ খেকে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তিনজনকে হেফাজতে নেয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। সে কারণে প্রকাশ্য জনসমুক্ষে গোলযোগ সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে তিনজনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এসএইচ