ঢাকা, সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি মেনে নিয়েছি, আন্দোলনের সুযোগ নেই: বাকৃবি ভিসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩০, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি মেনে নিয়েছি, আন্দোলনের সুযোগ নেই: বাকৃবি ভিসি চার অনুষদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবি ইতোমধ্যেই মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আর কোনো আন্দোলনের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাইনি আমাদের ছেলে-মেয়েরা বাড়ি ফিরে যাক, আবার ১৫ দিন পর আসুক। এতে তাদের খরচ, কষ্ট, অভিভাবকের দুশ্চিন্তা ও অনেকে বিসিএস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এজন্য আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি যথাসম্ভব মেনে নেওয়া হচ্ছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীবান্ধব, বিরোধী নই। ’

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে দ্রুত ক্লাস ও পরীক্ষা চালুর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অনুষদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ভিসি এসব কথা বলেন।

আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিবৃন্দ।  

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, সহকারী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন।

এসময় শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠকে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে আমাদের পড়াশোনা সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে আছে। আমরা চাই, দ্রুত ক্যাম্পাস খোলা হোক এবং আমরা যেন আমাদের ক্লাস-পরীক্ষায় নিয়মিত হতে পারি। ' 

তারা আরও জানান, 'আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রতিটি হল ও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরাও এই আন্দোলনে যোগ দেয়। ’

বৈঠকে ভিসি আরও বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তেই কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদিত হয়েছে। “২৫১ জন শিক্ষকের সর্বসম্মতিক্রমে বিষয়টি পাশ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা জানাতে পারে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ন্যায্যতা অনুসরণ করে কীভাবে সিদ্ধান্ত হবে, তা শিক্ষকরাই ভালো জানেন। ৬৪ বছরের পুরোনো ডিগ্রি বাতিল করে আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে। ”

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।