মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে দুই স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বামী, সতিন ও এক সন্তান দগ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দগ্ধরা হলেন- স্বামী বাহারুল ইসলাম (৫২) সতিন লাভলী বেগম (৩০) ও তাদের সন্তান রোহান (১৩)।
এদিকে এ ঘটনা ঘটিয়ে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার (৪২) মাগুরা সদর থানা আত্মসমর্পণ করেছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, বাহারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী লাভলী বেগম ও তাদের ছেলে রোহানকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। দুইদিন আগে ছেলে রোহানকে নিয়ে তারা মাগুরায় বাড়িতে আসেন।
শুক্রবার পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার ও দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী বেগমের ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী বাহারুল ইসলাম দুই স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় প্রথম স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। অন্যদিকে রাতে দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন স্বামী বাহারুল।
এদিকে ওই ঝগড়া ও মারধরের জেরে প্রথম স্ত্রী মধ্য রাতে শ্বশুরবাড়িতে এসে গোপনে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে বাহারুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলে অগ্নিদগ্ধ হন। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে দুপুরে ১২টার দিকে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার সকালে সদর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ঘটনা খুলে বলেন।
চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধ তিনজনের শরীরে বেশ খানিকটা পুড়ে গেছে। মাগুরায় বার্ন ইউনিট না থাকায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরএ