সিলেট: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি না করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুর ভিত্তিক কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদের আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারণ করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। অংশীদারদের সঙ্গে বসে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নীতি নির্ধারণ করতে হবে, পেশী শক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে, সহনশীলতা সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে নিজেদের মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে যা গবেষণার কাজকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
সিকৃবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-ইলাহী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা প্রমুখ।
প্রধান পৃষ্টপোষকের বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, সিকৃবি শিক্ষা, গবেষণা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অগ্রগতি সাধন করছে। সিকৃবিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, তোমরাও এই যাত্রায় আমাদের সহযাত্রী হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সীমিত সম্পদেও সীমাহীন সম্ভাবনা সৃষ্টি করা যায়, যদি থাকে দৃঢ় মনোবল ও নিষ্ঠা।
এনইউ/আরআইএস