ঢাকা, সোমবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ জুলাই ২০২৫, ২৫ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে ৪ হত্যা মামলা পুলিশের, আসামি ৫৪০০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০৪, জুলাই ২০, ২০২৫
গোপালগঞ্জে ৪ হত্যা মামলা পুলিশের, আসামি ৫৪০০ গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রার সমাবেশে হামলারএকটি চিত্র

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনায় চারটি হত্যা মামলা হয়েছে।  

পুলিশ বাদী হয়ে ৫ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় এসব মামলা করে।


 
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশ ঘিরে বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জের পাঁচজন নিহত হয়।
তারা হলেন- গোপালগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (২৫), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার (গোপালগঞ্জের পূর্ব মেয়াপাড়া ভাড়া বাসায় থাকতেন) সোহেল রানা মোল্লা (৩৫), কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের হরিণাহাটি গ্রামের (বিসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন) রমজান কাজি (১৮), ভেড়ার বাজার বেপারীপাড়া এলাকার ইমন তালুকদার (১৮) ও থানাপাড়া এলাকার রমজান মুন্সি (৩৫)। এর মধ্যে নিহত রমজান মুন্সির পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ‌ বাকি চারজনের পক্ষে গতকাল (১৯ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত সোহেল রানা পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ (মামলা নং-১৯), নিহত দীপ্ত সাহার পক্ষে উপ পরিদর্শক শামীম হোসেন (মামলা নং-১৮), নিহত ইমন তালুকদারের পক্ষে উপ পরিদর্শক শেখ মিজানুর রহমান (মামলা নং-২০), বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনটির প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ আসামি করা হয়েছে। অপর মামলাটি রমজান কাজির পক্ষে করেন উপরিদর্শক মো. আইয়ুব আলী (মামলা নং-১৭) ওই মামলায় অজ্ঞাত ৯০০ জনকে আসামি করা হয়।

চারটি হত্যা মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৫ হাজার ৪শ জনকে । ‌ মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৫৩, ৩০৭,৩০২ ও ৩৪ ধারা উল্লেখ করা হয়।  

এর আগে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে মোট চারটি মামলা করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ। চারটি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৬৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩২১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেলার পাঁচটি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর থানায় নতুন ৯ জনসহ ১০১ জন, কাশিয়ানীতে ৭৭ জন, মুকসুদপুর ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৭ জন ও কোটালীপাড়ায় নতুন ৬ জনসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।