ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

আমতলীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫০, জুলাই ২০, ২০২৫
আমতলীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক বরগুনার মানচিত্র

বরগুনার আমতলী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে সাজেদা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী তৈয়ব হাওলাদারের (৬৫) বিরুদ্ধে।  

শনিবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন।

নিহতের মেয়ে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে পাতাকাটা গ্রামের মৃত লতিফ হাওলাদারের ছেলে তৈয়ব হাওলাদারের সঙ্গে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামের মৃত মোক্তার আলী খানের মেয়ে সাজেদা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই মেয়ে, তারা বিবাহিত।  

পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তৈয়ব হাওলাদার গাছের ভারী ডাল দিয়ে সাজেদাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়, দুটি হাত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত লাগে।

এসময় ঘরে অন্য কেউ উপস্থিত না থাকায় আহত অবস্থায় নিজেই স্ত্রীকে রাত ১০টার দিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তৈয়ব। খবর পেয়ে বড় মেয়ে মরিয়ম বেগম হাসপাতালে ছুটে গেলে অভিযুক্ত বাবা মেয়ের হাতে চিকিৎসার জন্য তিন হাজার টাকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ।

রাত ১টার দিকে সাজেদার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। পরে স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে নিহতের মেয়ে মরিয়ম বেগম বলেন, আমার বাবার রাগ অনেক বেশি। সবসময় মাথা গরম থাকে। এখন কী কারণে মাকে পিটিয়ে হত্যা করল, তা আমাদের জানা নেই। বাবার বিরুদ্ধে মামলা বা বিচার চাইবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

নিহত সাজেদার চাচাতো ভাই ফুকু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার বোনকে মারধর করে মেরে ফেলেছে তার স্বামী। আমরা এর বিচার চাই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লুনা বিনতে হক জানান, সাজেদা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্ত তৈয়ব হাওলাদারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।