ঢাকা, রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

লেকে ভাসছিল সদ্য এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর লাশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:১১, জুলাই ১৩, ২০২৫
লেকে ভাসছিল সদ্য এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর লাশ আল-আমিনের লাশের পাশে স্বজনদের আহাজারি

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় আল-আমিন ওরফে রিমন (১৭) নামে সদ্য এসএসসি পাস এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।  

শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের লেক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর আল-আমিনের সাত সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর মডেল থানায় নিয়েছে পুলিশ।

নিহত আল-আমিন এ বছর চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। পরিবারসহ তারা শহরের মমিনপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১২ জুলাই বিকেলে আল-আমিন বাসা থেকে বের হয়ে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী হাই স্কুল মাঠসংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’-এর সামনে লেকপাড় এলাকায় কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর, রাত ৯টার দিকে, তাকে লেকের পানিতে ভাসতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা আরও জানান, আল-আমিনের সহপাঠীরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল, রিমন নামে আরেক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে লেকের এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে। এর বিনিময়ে সে ৫০০ টাকা পাবে। এরপরই এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আসেন আল-আমিনের বাবা রমজান আলী প্রধানিয়া, মা ফারজানা আক্তার ও অন্যান্য স্বজনরা।  

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

আল-আমিনের বাবা রমজান আলী অভিযোগ করেন, ভূঁইয়া বাড়ির সামনে থেকে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে লেকপাড়ে ছুরিকাঘাত করে অজ্ঞাতরা। সেসময় বাঁচার জন্য তার ছেলে লেকের পানিতে লাফ দিয়েও রক্ষা পায়নি, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরে হাসপাতালে আসে। বিষয়টি নিয়ে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।