পটুয়াখালী: আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় ও তারিখ নির্ধারণে রাজনৈতিক দল এবং সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে পটুয়াখালী শহরের শের-ই বাংলা সড়কের সুরাইয়া ভবনে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক ফোরাম’-এর আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আন্দোলনের প্রসঙ্গে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করতে পারিনি। কিন্তু এখন শিশু, ছাত্র, অভিভাবক, শিক্ষক সবাই রাজপথে নামছেন—তাদের অনুপ্রেরণায় সাধারণ জনগণও রাজপথে নেমেছে। গণআন্দোলনের এই জোয়ারে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তবে তিনি রেখে গেছেন রক্তাক্ত ইতিহাস।
তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের নিজেদের মধ্যে বিভাজনের কারণে আন্দোলনের সুফল জনগণ না পায়, তবে সেটি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী আওয়ামী লীগের শাসনামলের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কড়া সমালোচনা করে বলেন, গত ১৭ বছরে নির্বাচনের নামে দেশে প্রহসন হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে শেখ হাসিনা যাদের মনোনীত করেছেন, তারাই নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের তরুণ প্রজন্ম ভোট দেওয়ার সুযোগই পায়নি।
তিনি বলেন, আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার ও সমতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে— তবে তা অনির্দিষ্টকাল ধরে নয়, যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই কালই নির্বাচন হোক। কিন্তু বাস্তবতা হলো—একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন। সেই প্রস্তুতির জন্য কতটুকু সময় লাগবে তা সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল আজম রঞ্জুর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়জিদ পান্না প্রমুখ।
সভায় জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআরএস