ঈদুল আজহার প্রথমদিনে বরগুনায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতরা সবাই মৌসুমি কসাই—অর্থাৎ ঈদে কোরবানির সময় পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজে যুক্ত হলেও পেশাগতভাবে তারা কসাই নন। অধিকাংশ আহত ব্যক্তি হাত ও আঙুলে আঘাত পেয়েছেন। কারও কারও শরীরে দুই থেকে তিনটি সেলাইও দিতে হয়েছে। তবে কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবাই হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।
আহতদের একজন জেহেদী হাসান। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক) লেখেন, ‘কোরবানির মাংস কাটা সুন্নত। আলহামদুলিল্লাহ, অল্পের ওপর দিয়ে গেছে। সবাইকে ঈদুল আজহা মোবারক। ’
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন বলেন, আজ যারা আহত হয়েছেন, তারা সবাই মৌসুমি কসাই। পশু জবাই ও মাংস কাটার অভিজ্ঞতা না থাকায় অসাবধানতাবশত নিজেরাই নিজেদের কেটে ফেলেছেন।
এ ধরনের ঘটনা শুধু বরগুনাতেই নয়, ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কোরবানির সময় অভিজ্ঞ কসাইয়ের সহায়তা না নেওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই ধর্মীয় অনুশীলনের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সচেতন হওয়া জরুরি।
এসআরএস