খুলনা: পুলিশের দায়ের করা মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ২৮ নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন।
সোমবার (১৯ মে) খুলনা মহানগর হাকিমের বিচারিক আদালত-১ এর বিচারক মো. রাকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শেখ জামিরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান সোহাগ, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু।
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী গোলাম মাওলা বলেন, ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে সদর থানার ওসি হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ।
ওইদিন নজরুল ইসলাম মঞ্জু, তারিকুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতাদের ওপরও লাঠিচার্জ করা হয়। এ ঘটনায় উল্টো বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেই মামলা করে পুলিশ। পুলিশ যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত আসামি পক্ষের সবাইকে খালাস দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর খুলনায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে তৎকালীন ওসি মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদের ওপর নৃশংস হামলা চালায়। সেদিন বেপরোয়া পুলিশ মঞ্জু ভাইকেও সরাসরি আঘাত করে আহত করে। পুলিশের লাঠির আঘাতে আমার বাম হাত ফেটে যায়। আমাদের অনেক সহকর্মী এই বর্বর হামলায় আহত হয়েছিলেন। জামিল সোহাগ হেদু ভাইসহ কয়েকজনকে আহতাবস্থায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। উল্টো মঞ্জু ভাইকে হুকুমের আসামি করে পুলিশ আমাদের নামে মামলা করেছিল। মামলায় উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত না হওয়ার মামলা থেকে অভিযুক্তদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
এমআরএম/এএটি