ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

নুরের ওপর হামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে: ডা. তাহের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪০, আগস্ট ৩১, ২০২৫
নুরের ওপর হামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে: ডা. তাহের

পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের প্রতি ৭১ শতাংশ জনগণের পূর্ণ সমর্থন ও আস্থা রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, এ জনপ্রিয় পদ্ধতি ছাড়া ফ্যাসিবাদী আমলের ভোট ডাকাতির নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর মগবাজারস্থ আলফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত থানা আমির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আ. রহমান মূসা, দক্ষিণের নায়েবে আমির আ. সবুর ফকির প্রমুখ।

ডা. তাহের বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রতিভূরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা জুলাই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দেশ ও জাতিসত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

তিনি আরো বলেন, এ ঘৃণ্য হামলার দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় বিপ্লব হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

জামায়াত নেতা বলেন, বর্তমান সরকার ১৮ কোটি মানুষের সমর্থনের সরকার। তারা ক্ষমতায় আসার পর সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। জামায়াতও মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে। অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যও তৈরি হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল এসব সংস্কারকে সাংবিধানিক বা আইনগত ভিত্তি দিতে চায় না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার জন্যই রাষ্ট্রীয় সংস্কারগুলোকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে হবে।

অতীতের প্রহসনের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ডা. তাহের বলেন, আমরা অতীতের মতো হাসিনা মার্কা নির্বাচন চাই না। নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য। এজন্য জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দিতে হবে।

টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।