যুবকদের কর্মসংস্থান ও চাকরির নিরাপত্তাসহ ৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব উইং জাতীয় যুবশক্তি।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত জাতীয় যুব সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তারিকুল ইসলাম বলেন, আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবসে আমরা একত্রিত হয়েছি আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশকে সত্যিকার অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও সম্ভাবনাময় করতে হলে যুব সমাজকে কেন্দ্রে রেখেই রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির নতুন পথচলা শুরু করতে হবে। এই ইশতেহার সেই পথের দিশারি, যেখানে প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তব সম্মত, প্রয়োজনীয় ও আমাদের সময়ের চাহিদা অনুযায়ী।
জাতীয় যুবশক্তির ৭ দফা ইশতেহার হলো-
১. যুব কর্মসংস্থান: আজ বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ বেকার, এদের প্রতি তিনজনের দুজন যুব সমাজের অংশ। আমরা প্রতিটি তরুণ-তরুণীর জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও ন্যায্য মজুরির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চাই। কেবল শহর কেন্দ্রিক নয়, কর্মসংস্থানের সুযোগ বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে আমরা গ্রাম ও মফস্বলে যুব সমাজের জন্য মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। এজন্য আমরা সারাদেশের বিদ্যমান কর্মমুখী প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর আধুনিকীকরণ করে আইটি, স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং, ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক্স, হসপিটালিটি ও প্রকৌশল খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেব। এতে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে। শিক্ষা জীবন ও চাকরির বাজারের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য আমরা শিক্ষার্থী ও নবীন স্নাতকদের জন্য সরকারি-বেসরকারি খাতে বেতনসহ ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করব। প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আমরা প্রশ্নফাঁস, দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও স্বজন প্রীতি সম্পূর্ণ দূর করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব এবং গ্রেডভিত্তিক সমন্বিত পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করব। আমরা বেকারদের জন্য বেকার ভাতা নাগরিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের দিনমজুর, চা-শ্রমিক, গৃহকর্মী, নির্মাণকর্মী, পরিবহনকর্মী, শিক্ষানবিসদের একটি বড় অংশই তরুণ-তরুণী। তাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা অঞ্চলভিত্তিক আয়-সক্ষমতা ও ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে একটি সমন্বিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামো তৈরি করবো।
২. চাকরির নিরাপত্তা ও সুবিধা: আমাদের নতুন বাংলাদেশে যুবসমাজের প্রতিটি কর্মজীবী সদস্য নিরাপদ, ন্যায্য ও মানবিক কর্মপরিবেশে কাজ করার নিশ্চয়তা পাবে। আমরা সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরির বেতন প্রতিবছরের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চিত করব। আমরা সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই পূর্ণ বেতনে ন্যূনতম ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ও ১ মাস পিতৃত্বকালীন ছুটি বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেব। আমরা শিশু ও বয়স্ক অভিভাবকের যত্নের জন্য কর্মক্ষেত্রভিত্তিক শিশু ডে-কেয়ার এবং বয়স্ক সেবা চালু করব। আমরা কর্মজীবী তরুণীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে স্যানিটারি উপকরণ ও ব্রেস্ট ফিডিংয়ের নির্দিষ্ট স্থান রাখার ব্যবস্থা করব এবং কর্মস্থলে নিরাপদ যাতায়াতের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিসের পরিসর বৃদ্ধি করব। আমরা পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, অনলাইন ও যানবাহনে তরুণীদের হয়রানি ও নির্যাতন প্রতিরোধে আইনি কাঠামোর যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির বিধান করব। আমরা কর্মস্থলে দুর্ঘটনা বা ঝুঁকির জন্য বিমা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করব। আমরা বেসরকারি খাতের চাকরিতে নিয়মিত চুক্তি, বেতন দিতে স্বচ্ছতা ও কর্মঘণ্টা নিয়ন্ত্রণসহ শ্রম আইন কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করব।
৩. গণতন্ত্র, নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রীয় অংশগ্রহণ: জুলাই বিপ্লবে যুব সমাজের অংশগ্রহণের কারণেই আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত হয়। ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপে এবং আমাদের নতুন বাংলাদেশ গঠনে, গণতন্ত্র কেবল ভোটে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং প্রতিটি নাগরিক বিশেষ করে যুবসমাজ রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। এজন্য আমরা জাতীয় যুব পরিষদকে সক্রিয়, স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠন করব, যা নীতি প্রণয়ন থেকে বাজেট আলোচনায় পর্যন্ত সরাসরি ভূমিকা রাখবে। আমরা জাতীয় সংসদের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুবদের যুক্ত করে একটি ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি চালু করব, যাতে যুব সমাজ সরাসরি সংসদীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ভবিষ্যতের নেতৃত্বের প্রস্তুতি নিতে পারে। নারী নেতৃত্বকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালী করতে দলীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিশ্চিত করব। আমরা দেশব্যাপী যুব সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় যুব ফোরাম গঠন করব, যা স্থানীয় ও জাতীয় ইস্যুগুলোর সমাধান প্রস্তাব ও জনআন্দোলন সংগঠনে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব কেবল সেনাবাহিনী বা নীতিনির্ধারকদের দায়িত্ব নয়, এটি যুবশক্তির রাজনৈতিক ও নৈতিক অঙ্গীকার। আমরা সীমান্ত রক্ষা থেকে জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলা, খাদ্য ও প্রযুক্তি নিরাপত্তা-সবখানেই স্বেচ্ছাসেবী যুবদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করব। জাতীয় যুব কাউন্সিল গঠন করে ৬৪ জেলায় কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় যুবদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হবে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে।
৪. শারীরিক-মানসিক বিকাশ ও সামাজিক পুনর্বাসন: আমাদের নতুন বাংলাদেশে প্রতিটি তরুণ-তরুণীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং নিরাপদ ও ইতিবাচক নাগরিক জীবন নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর। আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্যকে জাতীয় অগ্রাধিকাররূপে প্রতিষ্ঠা করব। আমরা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে পর্যাপ্ত পার্ক, জিম, খেলার মাঠ, কাউন্সেলিং সেন্টার, ডিজিটাল হেল্প লাইন ইত্যাদি সহজলভ্য করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করব। দেশের প্রতি হতাশা ও অনিশ্চয়তা কমাতে তরুণদের অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি, দুর্যোগ মোকাবিলা ও সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ততার সুযোগ বৃদ্ধি করব। আমরা সমাজের বিদ্যমান অপরাধ ও মাদকাসক্তি মোকাবিলায় পুনর্বাসন কেন্দ্র বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন এবং দক্ষ সেবাপ্রদান নিশ্চিত করব। বিপথগামী তরুণ-তরুণীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করব। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর করে মাদকের সহজলভ্যতা বন্ধ করব। রাজনৈতিক সহিংসতার প্রধান শিকার যুবকরা, তাদের রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী হিসেবে ব্যবহার হওয়া প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও শান্তিপূর্ণ মতপ্রকাশের সংস্কৃতি গড়ে তুলব।
৫. ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল স্বাধীনতা: আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রতিটি তরুণ-তরুণীর খেলাধুলা, শিল্প, সংগীত ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজের প্রতিভা প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করব। আমরা যুব সমাজের বিকাশে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বিনোদনের সকল ক্ষেত্রকে সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ করে তুলতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করব। তরুণ-তরুণীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি জেলায় আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া কমপ্লেক্স, খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, জিম এবং ওপেন-এয়ারস্টেজ নির্মাণ করব। যুব সমাজের সৃজনশীলতার বিকাশে আমরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে স্থানীয় শিল্পী, লেখক, সংগীতশিল্পী ও কারুশিল্পীদের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও সহজগম্যতা নিশ্চিত করব এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎসব ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য সহায়তা করব। আমরা অবসর ও বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডকে তরুণ-তরুণীদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় থিম পার্ক, যুব ক্লাব, পর্যটন কেন্দ্র এবং ওপেন স্পেসে সৃজনশীল ও বিনোদনমূলক কার্যক্রম চালু করা হবে।
৬. ব্যবসা, উদ্যোগ ও বহুমুখী বাণিজ্য: আমাদের নতুন বাংলাদেশে, যুব সমাজ নিজের মেধা, উদ্ভাবন ও পরিশ্রমকে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল ব্যবসা ও শিল্প উদ্যোগে রূপান্তর করতে পারবে। আমাদের যুব সমাজ বহুমুখী রপ্তানি ও শিল্পায়নের মাধ্যমে এই দেশে একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। এজন্য আমরা সারাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়নকেন্দ্র ও স্টার্ট-আপ ইনকিউবেশন হাব গড়ে তুলব, যেখানে ব্যবসা পরিকল্পনা, প্রযুক্তি দক্ষতা ও বাজার কৌশল প্রণয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমাদের যুব সমাজের একটি বড় অংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা চালানোর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। আমরা জাতীয় এসএমই ও স্টার্ট-আপ ইনোভেশন তহবিল গঠন করব এবং যুব উদ্যোক্তাদের, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করব। আমাদের অর্থনীতিতে যুব সমাজের ভূমিকাকে আরও বেগবান করতে, আমরা ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে উচ্চ গতির ইন্টারনেট, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সুবিধা, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও স্বাস্থ্য বিমা নিশ্চিত করব।
৭. দক্ষ অভিবাসন ও রিভার্স ব্রেইন ড্রেইন: বাংলাদেশের যুব সমাজের একটি বড় অংশ বিদেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। আমরা সেই স্বপ্নকে মর্যাদাপূর্ণ ও ফলপ্রসূ করতে চাই–যেখানে বিদেশে যাওয়া মানে কেবল দেশ ছেড়ে যাওয়া নয়, বরং দেশের জন্য আরও বড় অবদান রাখার সুযোগ। এজন্য আমরা আন্তর্জাতিক মানের ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলব, যাতে তরুণরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে প্রতিযোগিতামূলক চাকরি ও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা আমাদের বৃহৎ প্রবাসী নেটওয়ার্ককে সক্রিয় করব–যেখানে শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও নীতিনির্ধারকরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। এই রিভার্স ব্রেইন ড্রেইনের মাধ্যমে আমরা বিদেশে অর্জিত দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক দেশের শিক্ষাখাত, ব্যবসা ও সরকারি নীতি প্রণয়নে সরাসরি যুক্ত করতে পারব। আমরা অভ্যন্তরীণ দক্ষ জনশক্তির স্থানান্তরকেও কৌশলগতভাবে ব্যবহার করব– যাতে মফস্বল, জেলা ও গ্রামীণ এলাকার মেধাবী যুবশক্তি দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক খাতে অংশ নিতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি বৈশ্বিকভাবে সংযুক্ত কিন্তু স্থানীয়ভাবে সক্রিয় বাংলাদেশি যুবশক্তি গড়ে তোলা।
অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যুবসমাজ শুধু আগামী দিনের নেতৃত্ব নয়, তারা আজকের বাংলাদেশ গড়ার প্রধান শক্তি। এই ৭ দফা ইশতেহার আমাদের স্বপ্নের দিকনির্দেশনা, কিন্তু এর সাফল্য নির্ভর করছে আমাদের ঐক্য, সাহস এবং কর্মপ্রচেষ্টার ওপর। আজ যারা এখানে আছেন, আপনারা প্রত্যেকেই এই পরিবর্তনের যোদ্ধা। আপনার হাতেই আছে মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানের স্বপ্ন, ইনসাফের বাংলাদেশ এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প। আমাদের নতুন বাংলাদেশে–আমাদের যুবসমাজের কেউ বেকার থাকবে না, কেউ ভয় পাবে না এই ফ্যাসিবাদ পরবর্তী রাষ্ট্রকল্পে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে। আমাদের এই যুবশক্তি নিয়েই আমরা এমন এক রাষ্ট্র গড়ব–যেখানে যুবসমাজ কেবল অংশগ্রহণকারী নয়, বরং আইন ও নীতি-প্রণয়ন করবে; যেখানে সংসদ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে যুবসমাজের কণ্ঠস্বর বলিষ্ঠ হবে।
জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। জাতীয় যুবশক্তির সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুলাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিভা, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য যুব উন্নয়ন সমন্বয়ক খালেদ মোস্তফা, জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ, জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব দ্যুতি অরণ্য, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর আহসান মোর্শেদ প্রমুখ।
এসসি/আরবি