রাজধানীর উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পুড়ে যাওয়া রোগীদের দেখতে রাজধানীর বার্ন ইনস্টিটিউটে রাতে গিয়েছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। দুজন রোগীর রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
রাত পৌনে ১টার দিকে ফেসবুকে লিখেছেন, লোকজন ছাড়া, নীরবে, কারও কাজের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি শিশুদের দেখতে গিয়েছিলাম।
‘একটি ছোট্ট মেয়ে, বয়স আনুমানিক ১১ বছর, তার বার্ন পারসেন্ট লেখা ছিল সম্ভবত ১৫ শতাংশ। দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখলাম ওর মা তাকে পানি খাইয়ে দিচ্ছেন। খাওয়া শেষে সে বলল, ‘মা, বাতাস করো। ’ এসি ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে প্রথমে বুঝতে পারিনি কেন সে এমন বললো। পরে দেখলাম, মা ছোট ব্যাটারিচালিত একটি পকেট ফ্যান খুঁজে নিয়ে এসে তার মুখের দিকে বাতাস দিচ্ছেন। মেয়েটির মুখ পুড়ে যাওয়ায় সেখানে জ্বালাপোড়া করে, তাই মা ফ্যানের বাতাস দিয়ে তাকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। দায়িত্বরত একজন বললো মুখের চামড়া বেশি সেনসিটিভ জ্বালাপোড়া বেশি হয়। ’
আর একজন রোগীর বর্ণনা দেন ইশরাক। লিখেছেন, আরেকজন শিক্ষিকা ছিলেন, যার পুরো শরীর কয়েকটি কম্বল দিয়ে মুখ পর্যন্ত ঢেকে রাখা হয়েছিল। দূর থেকে দেখলাম, আক্রান্ত ওই নারী ইশারায় তার স্বজনকে ডেকে আরও একটি কম্বল চাইছেন। উপস্থিত চিকিৎসকরা বললেন, ইতোমধ্যে চারটি কম্বল দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে খবর দেখলাম, সেই শিক্ষিকা মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বার্ন পারসেন্ট লেখা ছিল ১০০ শতাংশ।
এমআইএইচ/আরবি