ঢাকা, শনিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ জুলাই ২০২৫, ২৩ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

‘বিচার না হলে ভাইদের ফিরিয়ে দিন’, আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০২, জুলাই ১৯, ২০২৫
‘বিচার না হলে ভাইদের ফিরিয়ে দিন’, আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, বিচার যদি না পাই, আমার ভাইদের ফিরিয়ে দিন।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

রমজান আলী বলেন, আমি আজকে এই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছি শুধু একটি দাবি নিয়ে। সেটা ১৬ই জুলাই যখন শহীদ আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে পুলিশের সামনে যে জীবন দিয়েছিল, যেই কারণে সেই কারণের বাস্তবতা কি আমরা আজকে পেয়েছি? যদি ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা না পাই, তাহলে আমাদের এই শহীদ ভাইদের আমরা ফেরত চাই। ’

শহীদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে রমজান আলী বলেন, ‘আজকে দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেল, কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা একজন শহীদ ভাইয়ের হত্যারও বিচার পাইনি। আমাদের শহীদ ভাইদের বিচারের দরকার আছে কি নাই? আমি মনে করি নির্বাচনের আগে আমাদের এই শহীদ ভাইদের হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এর আগে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচনের দরকার নেই। ’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা জায়গায় জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে আছে, তারা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ’

রমজান আলী বলেন, যদি শহীদ ভাইদের হত্যাকাণ্ডের বিচার হয় এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি বিচারের আওতায় আসে, তাহলেই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে।

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে টালবাহানা মানছি না: শহীদ আলভীর বাবা
জুলাই অভ্যুত্থানের আরেক শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা সরকারের প্রতি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আপনারা জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন। দুই হাজার মায়ের সন্তান দেশের জন্য জীবন দিল, আপনারা খুনিদের বিচার দ্রুত করুন। বিচার নিয়ে কোনো টালবাহানা করবেন না।

আলভীর বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজকে ফ্যাসিবাদীর দোসরদের পুনর্বাসন করছে।

তিনি অভিযোগ করেন, তার ছেলের হত্যাকাণ্ডে মামলা করা হলেও পুলিশ এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না।  

‘হাসিনার আমলে যে পুলিশ নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল, যারা চাকরিতে ছিল, তারা এখন পর্যন্ত চাকরি করছে। তারা কীভাবে সেই হত্যাকারীদেরকে ধরবে? আসামিদের ধরার কথা বললে তারা যাচ্ছি, যাব বলে টালবাহানা করছে। ’

ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।