ঢাকা, শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

‘তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা, এটি স্বৈরাচারেরই ভাষা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, জুলাই ১৮, ২০২৫
‘তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা, এটি স্বৈরাচারেরই ভাষা’ রাজধানীতে পেশাজীবীদের মৌন মিছিল

ঢাকা: বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে চোরাই পথে কেউ কেউ আগামীতে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে, জনগণ তা মেনে নেবে না। তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটনা করা হয়েছে।

এটা রাজনীতির ভাষা নয়, এটা স্বৈরাচারেরই ভাষা।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে রয়েছে। এ ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারার’ প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মৌন মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ১৮ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফেরত পেতে লড়াই করছেন। এখনও সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনও ফ্যাসিবাদের দালালরা বসে আছে। তাদের তাড়াতে হবে। মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে।  

এ সময় তিনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সব কালা কানুন বাতিল, জাতীয় নেতাদের চরিত্রহননের নোংরা রাজনীতি ও গণতন্ত্র নস্যাতের চক্রান্ত বন্ধ এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। অন্যথায় পেশাজীবীরা অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে বলেও যোগ করেন তিনি।

মিছিলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, সৈয়দ আলমগীর এমবিএ, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন, সাবেক সচিব আবদুল বারি, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামিম, চিকিৎসক নেতা প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, জাহানারা সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, মুরসালিন নোমানী, রাশেদুল হক, সাঈদ খান ডা. হারুন উর রশিদ রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, ডা. লুৎফর রহমান লিটন, একে এম মূসা লিটন, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, কামরুজ্জামান কল্লোল, এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, আমিরুল বারি কানন, তানভিরুল আলম, খাজা মাইনুদ্দিন মঞ্জু, দবিরউদ্দিন তুষার ও হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।