ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলালেই জাতীয় ঐক্য সম্ভব। সেখানে বিভাজনের কোনো যুক্তি নেই।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নতুন গণমাধ্যম বাংলা এডিশন–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা তো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের পক্ষে একমত হতেই পারি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হওয়া উচিত তিনটি মূল স্তম্ভে—পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থরক্ষা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে। এ তিন ভিত্তির ওপরই আমাদের বিদেশনীতি দাঁড়ানো উচিত।
তিনি বলেন, দিনশেষে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের হাতে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। একটা নির্বাচিত সরকার ফিরিয়ে আনা, যার মাধ্যমে একটি প্রকৃত জনগণের সরকার গঠিত হবে। এই জায়গায় তো আমাদের ঐক্য হওয়া উচিত। এ বিষয়ে ভিন্নমতের কোনো অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে হবে। একে অপরের মতের প্রতি সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্র মানেই ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু ভিন্নমতকে সম্মান করতে জানতে হবে। চরিত্রহনন, অশালীন বক্তব্য ও ব্যক্তিগত আক্রমণের রাজনীতি দিয়ে কোনোদিন জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে না।
আমীর খসরু মিডিয়ার ভূমিকার কথাও গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মিডিয়াকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যে জায়গাগুলোতে মতের মিল আছে, সেগুলো তুলে ধরতে হবে। মতপার্থক্যের জায়গায় আলোচনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। কাউকে চাপিয়ে নয়, সম্মিলিত চিন্তা থেকেই ভবিষ্যৎ পথ ঠিক করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ বীর প্রতীক, কর্নেল হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আজমী, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসান মাহবুব জুবায়ের, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, মুফতি হারুন ইজহার, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ইসলামী বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী, শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান ও আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ।
এমএমআই/জেএইচ