খুলনা: খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লার হত্যাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। ভিডিও ফুটেজ, ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার হওয়া গুলির খোসা, গুলির পর রগ কেটে দেওয়াসহ নানা বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনায় জড়িত কোনো আসামি আটক হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে কয়েকটি কারণ সামনে রেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশের তিনটি টিম।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান বলেন, দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
হত্যাকাণ্ডে একদিন পর শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে নিহত মাহবুবুর রহমানের বাবা মো. আব্দুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে নগরীর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা। মাহবুব মোল্লা তখন তার নিজ বাসার গেটে প্রাইভেটকার ধোয়ামোছার কাজ করছিলেন, ওই কাজে তাকে সাহায্য করছিলেন একই এলাকার ভ্যানচালক গাজী সোলায়মান নামের এক যুবক।
এ সময় মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া সড়কের দক্ষিণ দিক হতে মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাতনামা ৩ দুর্বৃত্ত মাহবুবকে লক্ষ্যে করে ৬/৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোঁড়ে। গুলি মাহবুবের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগে। গুলির শব্দ শুনে মাহবুবের সঙ্গে থাকা ভ্যানচালক পালিয়ে গেটের ভেতর গেলে তাকেও লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে দৃর্বত্তরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের দুই রগ কেটে দেয়। সন্ত্রাসীদের গুলি তার বাড়ির প্রাচীর, মূল প্রবেশদ্বারসহ আশপাশের ভবনে গিয়ে লাগে।
মাহবুব মোল্লার বিরুদ্ধে দৌলতপুরসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮টি মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে অবস্থান নেওয়ায় মাহবুবুর রহমানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এমআরএম