খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ চার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও পতিত সরকারের আমলে নানাবিধ অভিযোগে অভিযুক্ত এসআই সুকান্তকে জনগণ ধরে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে কেএমপির পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে রাতের আধারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে গভীর উদ্বেগ, নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি নেতারা।
তারা বলেন, পুলিশ কমিশনার এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দিয়ে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে শুধু ব্যর্থতার পরিচয় দেননি, তিনি পতিত সরকারের পক্ষ অবলম্বন করেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে খুলনা থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নেতারা। একইসঙ্গে এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ জুন) রাতে বিএনপি মিডিয়া সেলের দেওয়া বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ৩৬ জুলাই পরবর্তী সময়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খুলনার চিহ্নিত ডেভিলদের গ্রেপ্তারে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। খুলনা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি কমিশনারের ব্যর্থতার ফসল। সন্ত্রাসীদের পদচারনায় খুলনা নগরী এখন প্রকম্পিত। হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভাগী শহর খুলনার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এ ধরনের ব্যর্থ কর্মকর্তা দিয়ে মোটেই সম্ভব নয়।
তারা আরও বলেন, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানমুখী আন্দোলনে হামলার শত শত অভিযোগ রয়েছে। মামলার অভিযুক্ত আসামি সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়া আইনের অপব্যবহার এবং পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রমাণ বহন করে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেএমপির কমিশনারকে অপসারণ করা না হলে খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয় সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।
এমআরএম