ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা ও রাখাইনে করিডোর স্থাপনের উদ্যোগ বাতিলের দাবিতে আগামী ২৭ ও ২৮ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক জোট।
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সূচনা বক্তব্য রাখেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন নসু।
আরও বক্তব্য দেন বাসদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, জাসদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে চাইছে, যা দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। লাভজনক এই বন্দর ইজারা দিলে বিদেশি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে এবং দেশীয় শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তারা অভিযোগ করেন, রাখাইনে করিডোর স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সাম্রাজ্যবাদী ছায়াযুদ্ধে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে বাংলাদেশকে ভূ-রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থের পরিপন্থী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মার্কিন ইন্টারনেট কোম্পানি স্টারলিংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে, যা কেবল ইন্টারনেট সেবা নয়, বরং সামরিক ও রাজনৈতিক নজরদারির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে তুরস্ক ও কাতারকে অস্ত্র কারখানা স্থাপনের সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগও প্রশ্নবিদ্ধ বলে তারা উল্লেখ করেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ২৭ জুন সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উদ্বোধনী সমাবেশের মধ্য দিয়ে রোডমার্চ শুরু হবে। ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা হয়ে ফেনীতে রাত্রীযাপন শেষে ২৮ জুন মিরসরাই, সীতাকুণ্ড হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে গিয়ে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সংহতি বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালিত হবে।
আরকেআর/এসআইএস