ঢাকা: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে “সংকোচনমূলক ও মন্দা সৃষ্টিকারী” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির অভিযোগ, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকার এমন এক বাজেট পেশ করেছে যা অর্থনীতিকে স্থবির করে দিতে পারে।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এটা একটি অনির্বাচিত, অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট। কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই, বরং এতে সংকোচন ও মন্দার প্রতিফলন স্পষ্ট।
নেতারা বলেন, এই বাজেট চমকবিহীন ও গতানুগতিক। এতে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ বা ব্যয় বৃদ্ধির কোনও উদ্যোগ নেই। অথচ সরকার ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে, যা বাস্তবে অর্জন অসম্ভব। বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
এই বাজেটে প্রত্যাশা ছিল কালো টাকা, ঋণখেলাপি, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যয় বাড়ানো হবে। কিন্তু সরকার সেই পথ না নিয়ে, রাজস্ব আহরণ ও সুদের বোঝায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
সিপিবি মনে করে, বাজেটটিতে কিছু খাতের শুল্ক পরিবর্তন ও সামাজিক নিরাপত্তায় আংশিক সংস্কার ছাড়া মৌলিক কোনো নীতিগত পদক্ষেপ নেই। বরং উচ্চ সুদের হার, কৃষি ও এসএমই খাতে খরচ বাড়ানো, বিদ্যুৎ-জ্বালানি-আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত ও কৃষকদের জন্য এই বাজেট আশার আলো নয়।
এসকে/এসআইএস