জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন দল দলীয় অফিস বানিয়ে ফেলেছে। আমরা শুনতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় দলীয় এজেন্ডার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে ‘সংকট সমাধানের একমাত্র পথ গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় যে স্টেক হোল্ডার সেটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ২০২২ সালের যে কালো আইনটা রয়েছে যেটা শেখ হাসিনার আমলে তৈরি করা হয়েছিল সেই কালো আইনের ভিত্তিতেই এই পাঁচজন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তাদেরকে কমিশনার না করে দলীয় চেয়ারম্যান দলীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট দলীয় সেক্রেটারি এভাবেই যদি আমরা বলতে পারতাম তাহলে হয়তো তাদের সাথে অনেক বেশি মানানসই হতো।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ১০ মাস পূরণ হয় নাই এর মধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন দলের একটি দলীয় অফিস বানিয়েছে। আমরা শুনতে পাচ্ছি বিভিন্ন জায়গায় দলীয় এজেন্ডার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আমরা শুনছি বিভিন্ন দলের সাজানো স্ক্রিপ্টে আসন বিন্যাস প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। আমরা তাদেরকে বলবো সময় আছে ভালো হন। সময় গেলে আপনাদের সেই সুযোগ আর পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ডেমোক্রেসির বাংলাদেশে আর কোন অটোক্রেটিক গভমেন্ট দেখতে চাই না। আমরা যদি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না গিয়ে নির্বাচনে যাই তাহলে যেই সিস্টেমটা আমাদের চলমান রয়েছে তাতে আমরা মনে করি বাংলাদেশে নতুন একটি স্বৈরাচার আবির্ভূত হবে। অর্থাৎ সিস্টেমের যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় স্বৈরশাসক আবার বাংলাদেশে আসতে তারা প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। এই স্বৈরশাসকদের ঠেকানোর জন্য আমরা আর রক্ত দিতে চাই না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, অধ্যাপক দিলারা জামান, এপি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
ডিএইচবি/এমএম