সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানার প্রধান ফটকের সামনেই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপির নেতাকর্মীরা এ হামলার জন্য জামায়াত নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করেছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে উল্লাপাড়া পৌর এলাকার থানার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আজাদ হোসেনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিএনপি নেতা আজাদ হোসেন আজ দুপুরে উপজেলা মসজিদে জুমার নামাজ শেষে থানার প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হাফিজুরের নেতৃত্বে কয়েক জামায়াত নেতাকর্মী পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
উল্লাপাড়া থানার এসআই আব্দুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি নেতা আজাদ হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তারা মাথা কেটে জখম হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলও করেছে।
উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জামায়াত নেতারা পৌর বাস টার্মিনাল থেকে টোল আদায় করে। তারা বৃহস্পতিবার টার্মিনালের মালিক সমিতি দখল নিয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেই। এ ঘটনার জেরে আজকে দুপুরে জামায়াত নেতা হাফিজুর, রাশেদ ও আল-আমিনসহ বেশ কয়েকজন আজাদ ভাইয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাফিজুর তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে উল্লাপাড়া পৌর জামায়াতের সদস্য হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী বলেন, হাফিজুরের সঙ্গে বিএনপি নেতা আজাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব। জামায়াত ইসলামীর কোনো সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়নি। ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সে কারণে হয়তো এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে এ ঘটনার জেরে আমার ভাই কৃষি ব্যাংকে কর্মরত গোলাম মোস্তফাকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে থানায় গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধর বলেন, জুমার নামাজ শেষে আজাদ হোসেন তার কয়েকজন লোকের সঙ্গে থানার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। ওই সময় তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল ৪-৫ জন ছেলে। ওদের ভেতরে ভেতরে কোন ইনটেনশন ছিল যেটা কেউ বুঝতে পারেননি। এ সময় কালো পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি পরা একটা ছেলে হঠাৎ করে এসে ঘুষি মারে। তিনি যখন থানার ভেতরে দৌঁড় দেন, তখন হাতুড়ি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে। যে আঘাত করেছে আমরা তার পরিচয় জানতে পেরেছি, তার পদ-পদবি আছে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
জেএইচ