ঢাকা, রবিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

অন্যান্য দল

মার্কিন অবরোধের শিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৪৭, অক্টোবর ১, ২০১৯
মার্কিন অবরোধের শিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো: মেনন

ঢাকা: ইরান, উত্তর কোরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও কিউবার ওপর আরোপিত মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম মিলনায়তনে 'Economic Sanction & Blockade against  DPR Korea, Cuba,  Iran & Venezuala' শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি।  

মার্কিনিদের সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ১৯৭৪ সালে আমাদের দেশে দুর্ভিক্ষ ও খাদ্যাভাব চলছিল।

সে সময় বাংলাদেশ সরকার কিউবায় পাটজাতীয় দ্রব্য রপ্তানি করেছিল। কিউবাকে পাট দেওয়ায় প্রতিশোধ হিসেবে আমেরিকা আমাদের জন্য পাঠানো গমের জাহাজ মধ্যসাগর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এর ফলে তৎকালীন দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। সেই দুর্ভিক্ষে আমাদের ছয় লাখ লোক মারা যায়।  

ইরানের ওপর চলমান মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে মেনন বলেন, ইরানের ওপর যখন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়, তার ফল সমগ্র বিশ্বের ওপর পড়ে। যদি ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধ লাগে, তাহলে সারা বিশ্বেই একটা বিপর্যয় ঘটে যাবে। তেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যাবে। মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।

‘বাংলাদেশ তেল উৎপাদন করে না, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা তখন কী দাঁড়াবে? যে পরিমাণ গ্যাস ছিল, তাও শেষ হয়ে গেছে, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অবস্থা কোথায় যাবে? সুতরাং ইরানের ওপর চাপানো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের জনগণও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ’ 

একই সূত্র ধরে ওয়ার্কাস পার্টির নেতা বলেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কেবল কিউবা, ইরান, কোরিয়া বা ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে নয়, চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা যায়, এই নিষেধাজ্ঞার শিকার আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ ও তার জনগণ।  

‘বর্তমান সময়ে যদি দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায়, কোরিয়ায় পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে, তাহলে তা কিন্তু হিরোশিমা-নাগাসাকির মত হবে না। এর প্রভাব এ অঞ্চলকে ধ্বংস করে দেবে। সুতরাং কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ যখন হয়, সেই অবরোধ বাংলাদেশকেও আঘাত করে। তাই আসুন সবাই মিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা সকলে মিলে যদি আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তুলতে না পারি তাহলে এই বিশ্বকে রক্ষা করা যাবে না। ’

সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ওয়ার্কার্স পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক ইমরান।  

এ সময় আয়োজিত সেমিনারে সংহতি প্রকাশ করে কিউবা ও ভেনিজুয়েলার পাঠানো বার্তাও পাঠ করে শোনানো হয়।  

রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও আলোচনা করেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়ার ফার্স্ট কাউন্সিলর মিস্টার পার্ক, পার্বত্য শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এম কাশেম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
আরকেআর/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ