ঢাকা, সোমবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ জুলাই ২০২৫, ২৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

শীতের প্রকৃতিতে চন্দ্রমল্লিকার শোভা

শোয়েব মিথুন, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১৯, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
শীতের প্রকৃতিতে চন্দ্রমল্লিকার শোভা চন্দ্রমল্লিকার শোভা। ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: চন্দ্রমল্লিকা বাংলাদেশের অতি পরিচিত ফুল। শীতকালীন ফুলের মধ্যে এই ফুল বেশ জনপ্রিয়।

ইংরেজিতে একে ক্রিসেন্থিয়াম বলা হয়। শব্দটি গ্রিক থেকে এসেছে, বাংলা করলে এর অর্থ দাঁড়ায় ‘সোনার ফুল’। বিভিন্ন রঙের হয় বলে একে ‘শরৎ রানিও’ বলা হয়। ফুলটির আরেকটি নামে ‘সেবতি’।

চন্দ্রমল্লিকার আদি জন্মস্থান চীন ও জাপান। এটি একটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি সাধারণত বাড়ির আঙিনা, বারান্দা কিংবা ছাদে চাষ করা যায়। এর গাছ ৫০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। ফুলের আয়তন বৃহদাকার। ফুলগুলো সাধারণত সাদা-হলুদ ও মেরুন বর্ণের হয়।

দেশে চন্দ্রমল্লিকার ৩টি প্রজাতি বিশেষভাবে পরিচিত, তিন রঙের চন্দ্রমল্লিকা, তোরা চন্দ্রমল্লিকা, মালির চন্দ্রমল্লিকা। আকৃতি ভেদে চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন জাত রয়েছে। সেগুলো-বাসন্তী (উজ্জ্বল হলুদ), মেঘামী (হালকা বেগুনি), উনা (হালকা গোলাপি), রোজডে, চন্দমা, স্নোবল, পুইসা পকেট এবং সোনার বাংলা।

চন্দ্রমল্লিকার কুঁড়ি আসে অক্টোবরে এবং নভেম্বরে ফুল ফোটে। গাছে ফুল তাজা থাকে ২০-২৫ দিন। তবে, কুঁড়ি অবস্থায় তুললে ফোটে না। জাত ভেদে প্রতি বছরে একটি গাছ থেকে ৩০-৪০টি ফুল পাওয়া যায়। আর ফুলগুলো দেখতে অনিন্দ্য সুন্দর। এমনকি এই ফুলের বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ওষুধি গুণাগুণও আছে।

চন্দ্রমল্লিকা বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে, ধর্মীয় নৈবেদ্য এবং মালা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া আঙিনা, ছাদ বা বারান্দার সৌন্দর্যবর্ধনেও এর জুড়ি মেলা ভার।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।