বুধবার (১ মে) ভোরে উপজেলার নন্দলালপুর নাককাটার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোহেলী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার তিলছড়া গ্রামের ভ্যানচালক সিরাজ সিকদারের মেয়ে।
সোহেলী বাবা সিরাজ সিকদার বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার নন্দলালপুর এলাকায় অবস্থিত প্রাইম টেক্সটাইলে একসঙ্গে কাজ করার সবাদে সোহেলী ও রাব্বি মিয়ার মধ্যে পরিচয় হয়। এ পরিচয়ে রাব্বি মিয়া তার বাবা-মাকে দিয়ে আমাদের কাছে সোহেলীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়।
তখন আমরা রাব্বি মিয়া ও তার পরিবারের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজ-খবর না নিয়েই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হই এবং সোহেলীকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে সোহেলী ও রাব্বি নন্দলালপুর নাককাটার বাড়ি এলাকার হানিফ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকছে। এরপর সোহেলী চাকরি ছেড়ে ঘরেই থাকতো। আর রাব্বিও চাকরি ছেড়ে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করে।
তিনি আরও জানান, বুধবার ভোরে আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি ঘরের মেঝেতে সোহেলীর নিথর দেহ পড়ে আছে। আর রাব্বি কিছুটা দূরে বসে আছে। এসময় দ্রুত সোহেলীকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোহেলীর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় ও গালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে প্রথমে মারধর ও পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাব্বি মিয়াকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান এসআই আব্দুল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৯
ওএইচ/