ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

বরিশালের ২২৪ জন মুক্তিযোদ্ধার ‘লোপাট হওয়া ভাতা’ উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:১৩, মার্চ ১, ২০১৯
বরিশালের ২২৪ জন মুক্তিযোদ্ধার ‘লোপাট হওয়া ভাতা’ উদ্ধার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন

বরিশাল: বরিশালের মুক্তিযোদ্ধাদের তিন কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ‘পুনরুদ্ধার’ করা হয়েছে।বৃহষ্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএমই পণ্য মেলার আয়োজন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।

পাশাপাশি এ বিষয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রালয় থেকে প্রেরিত চিঠিটি জেলা প্রশাসক ওইসময় আনুষ্ঠানিকভাবে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোখলেছুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরীর হাতে তুলে দেন।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক পুলক চ্যাটার্জীসহ অন্যান্য আমন্ত্রিতরা।

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, এই টাকা নিয়ে বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ সর্বমহলে একটি ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন টাকাটি বিগত সময়ে কেউ আত্মসাত করেছেন। কিন্তু ওই সময়ে নতুন তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিতভাবে ভাতা প্রদান করতে গিয়ে ৯ মাসের বকেয়া পরে। ওদিকে মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দের টাকা ফিরে যায়। ফলে হিসেবের একটি অমিল সৃষ্টি হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বরিশালের সাবেক জেলা প্রশাসক এসএম আরিফুর রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে বরিশালের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পুনরায় সেই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এতে করে ২২৪ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।

প্রসঙ্গত, বরিশালে ৬ হাজার ৪৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতার প্রায় চার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বরিশাল জেলার মোট ভাতাভোগী ছিলেন ৬ হাজার ২৩২ জন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে আরও ২২৪ জন যুক্ত হয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৫৬। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পেতেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার নামে ব্যাংক হিসাবে ১৫ হাজার টাকা করে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু জমা হয় ১০ হাজার টাকা করে। আর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত জমা হয় ১৫ হাজার টাকা করে। ফলে না পাওয়া টাকা নিয়ে আপত্তি ওঠে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় টাকা ফিরে পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘন্টা, ০১ মার্চ, ২০১৮
এমএস/এমএমএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।