ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বুড়িগঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:১২, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯
বুড়িগঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলবে

ঢাকা: অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। যার বা যাদেরই হোক না কেন, সব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং হবে। বুড়িগঙ্গার আশপাশে দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর এমন কথাই বলছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানাচ্ছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল থেকে ফের অভিযান হবে বুড়িগঙ্গার তীরে।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি অভিযান শুরু হওয়ার থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১৯৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর, ছাতামসজিদ, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল, কিল্লার মোড়, শ্মশান ঘাট এলাকায় যেসব অবৈধ স্থাপনা ছিল, সব সাফ করে ফেলা হয়েছে অভিযানে।

নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা টিনের ঘর, আধাপাকা, পাকা বহুতল ভবন, বিভিন্ন স’মিল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।  

এই অভিযানে যাদের স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে, তারা আক্ষেপ প্রকাশ করলেও স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন এবং স্থানীয়রা। অভিযান পরিচালনাকারীরা বলছেন, অবৈধ স্থাপনা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভিযানকালে নদীর তীরভূমি দখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে কয়েকজনকে আটক ও জরিমানাও করা হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে আবার। সেদিন বুড়িগঙ্গার বাকি অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। বসিলা, নদীর আদি চ্যানেল, কেরাণীগঞ্জের পাশ দিয়ে এবার অভিযান হবে। নদী-সীমানার মধ্যে যে কোনো স্থাপনা, এমনকি সরকারি স্থাপনাও উচ্ছেদ হচ্ছে।  

বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক একেএম আরিফউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যত বড় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অবৈধ স্থাপনা হোক, গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে আমাদের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’। অভিযানে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।