দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষই এ উৎসব পালন করেন। তবে যাদের জন্য এ উৎসব অধিকাংশ হাওরাঞ্চলের সেই কৃষকরাই বাদ পড়ে যান উৎসবটি পালন থেকে।
রোববার (১৫ এপ্রিল) পীরেরবাজার এলাকায় চুনারুঘাট পৌর কর্তৃপক্ষের দিনব্যাপী এ বৈশাখী মেলার আয়োজনে করে। এতে জেলার নয় উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা এসেছেন কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের উদ্দেশে।
চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বাংলানিউজকে বলেন, মূলত কৃষকদের উদ্দেশ্য করেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এতে সবধরণের কৃষি যন্ত্রপাতি ছাড়াও পাওয়া যায় মাছ শিকারের জাল ও ফাঁদ, বাচ্চাদের খেলনা, বেতের পাটি, খই, মুড়ি, তেলুয়াসহ নানা ধরণের খাবার।
তিনি আরো জানান, বিশেষ করে এ মেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা লাঙ্গল, জুয়াল, কাচি, খুন্তি, কুড়াল, দা, বটি, আগুল, ফোরা, চৌকাম, হালের লাঠি, গরুর কোফা, খড় শুকানোর কাজে ব্যবহৃত ঊকিলসহ হরেক রকম কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে বসেছেন। আর স্থানীয় বাজার থেকে এই মেলায় দাম অনেক কম হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসেছেন ক্রয়ের উদ্দেশে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় অন্তত ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটেছে। মানুষের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মেলায় ১৫০ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এনটি