রোববার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক পাইকারি মৎস্য ক্রেতা মাছের ঝুরি মাথায় নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন।
এদিকে হঠাৎ করে পাইকাররা মাছ কেনা বন্ধ করে বিক্ষোভ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চলনবিলের মৎস্যজীবীরা।
স্থানীয় নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহিষলুটি মৎস্য আড়তের সভাপতি মিজানুর রহমান সরকার জানান, যেখানে এক মণ মাছ কিনলে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ১৫ টাকা খাজনা নেওয়া হতো। সেখানে নতুন ইজারাদার এসেই শনিবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত খাজনা আদায় করেছেন। এ কারণে সকাল থেকেই মৎস্য ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলাও দায়ের করেন ব্যবসায়ীরা।
আফজাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, রাশিদুল হক, শাহ আলম নাছির উদ্দিন, আলাউদ্দিন, সাদ্দামসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেন, উত্তরাঞ্চলে মৎস্য কেনাবেচার অন্যতম আড়ত মহিষলুটিতে প্রতিদিন সারাদেশের কমপক্ষে আড়াই হাজার ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা করে থাকেন। যেখানে লেনদেন হয় দেড় থেকে ২ কোটি টাকা। নতুন ইজারাদার এসেই এখানে খাজনা আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজিতে নেমেছেন।
তবে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে আড়তের ইজারাদার গফুর মণ্ডল জানান, পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীরা ১টি গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ ডালি অথবা ১০ থেকে ১৫ ড্রাম মাছ কিনে পরিবহন করে থাকেন। সব মিলিয়ে গাড়ি প্রতি ৫ থেকে ৬শ’ টাকা খাজনা আদায় করা হয়।
তাড়াশ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফজলে আশিক জানান, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগে মৎস্য ব্যবসায়ীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
আরএ