রোববার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টিটিসিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোস্তাজুল ইসলাম মহানগরীর ঠাকুরমারা সুতাহটি এলাকার সেলিম ইসলামের ছেলে।
নিহত বাবু মহানগরীর বহরমপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় বাবু গুরুত আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এই দুই শ্রমিক কোরিয় সহায়তা সংস্থা- কোইকার অর্থায়নে নির্মিত রাজশাহী টিটিসির ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রকল্পের ভাড়া করা কর্মী ছিলেন। মুক্তা কনস্ট্রাকশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশী একটি প্রতিষ্ঠান সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় তৃতীয় তলার কাজ। সেখানে ক্রেনে করে নির্মাণ সামগ্রী তুলছিলেন কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্যাফট ভেঙে ক্রেনটি নিচের মিক্সার মেশিন ঘেঁষে পড়ে যায়।
এ সময় সেখানে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিক মোস্তাজুল মাথায় ও বুকে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন কর্মী বাবু। তাকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান আমিনুল ইসলাম।
এদিকে টিটিসির কর্মরত শ্রমিকরা জানান, কোনো ধরণের নিরাপত্তা ছাড়াই নিচে কাজ করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। এছাড়া কাজ শুরুর আগে যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করেও দেখেননি সংশ্লিষ্টরা। এতে ওই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তবে কর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করেন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
রাজশাহীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হচ্ছে। নিহতের মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান শাহ মখদুম থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮/আপডেট ১২০২
এসএস/এএটি