শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১টায় উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আওনা চকের একটি পুকুর থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।
মৃত নার্গীস আক্তার উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের ইমান আলীর স্ত্রী এবং ময়না বেগম পার্শ্ববর্তী আজিজপুর গ্রামের জামাল খানের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
নার্গীসের বড় ছেলে তানভীর আহম্মেদের অভিযোগ, তার মা নার্গীস আক্তার ও ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য তিনি তার বাবা ইমান আলীকেই সন্দেহ করছেন।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার দুপুরে শোল্লা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আওনা চকের একটি পুকুরে এক নারী পানি আনতে গিয়ে নার্গীস-ময়নার মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসীকে জানান। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, পচন ধরায় ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দু’টি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
সূত্রে জানা যায়, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নার্গীস আক্তারের মোবাইল ফোনে কল আসে। সেসময় নার্গীসের বাড়িতে ছিলেন ময়না। মোবাইলে কথা বলা শেষে তারা দু’জন ঘর থেকে বের হয়ে যান। অনেকক্ষণ পর তারা ফিরে না আসায় উভয় পরিবার থেকে ফোন করলে নার্গীসের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং ময়নার মোবাইল খোলা থাকলেও রিসিভ হচ্ছিলো না।
অনেক খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে ১০ এপ্রিল রাতে নার্গীসের ছেলে তানভীর তার মা ও ময়নার নিখোঁজের বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নার্গীসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, তার মা ও মায়ের বান্ধবীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাকে তার বাবা ইমান আলীই হত্যা করেছেন বলেও অভিযোগ তানভীরের।
তানভীর জানান, ৯ বছর ধরে মায়ের সঙ্গে বাবার দ্বন্দ্ব চলছে। তিনি এ বাড়িতে থাকেন না। ৫ বছর আগে বাড়িতে এসে তার মাকে বাবা ইমান আলী বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি দেখতে পেয়ে মাকে বাঁচান। বিষয়টি পারিবারিক তাই লজ্জায় অন্য কাউকে জানাননি। তবে একাধিকবার তার মাকে বাবা হত্যার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
আরএ