ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শুদ্ধতায় হাঁটি গড়ে তুলি আমার পুণ্ড্রনগরী

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩১, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
শুদ্ধতায় হাঁটি গড়ে তুলি আমার পুণ্ড্রনগরী বগুড়া শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি। ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফ

বগুড়া: শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) ছিলো চৈত্র সংক্রান্তি। বাংলা ১৪২৪ সালের শেষ দিন। সব গ্লানি, ব্যর্থতা আর পুরাতনকে বিদায় দেওয়ার দিন।

এ দিন ‘‌শুদ্ধতায় হাঁটি গড়ে তুলি আমার পুণ্ড্রনগরী’ শীর্ষক কর্মসূচিতে বগুড়া শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পৌরসভাসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী। তার এ ঘোষণায় মানুষ ব্যাপকভাবে সাড়াও দেন।


 
এদিন সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় শোভাযাত্রা নিয়ে জড়ো হন রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যমকর্মী, সুশীলসমাজসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষসহ তরুণরা। আবার অনেকেই নিজের মতো করে এ কাজে সম্পৃক্ত করেন নিজেকে।
বগুড়া শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি।  ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফ
হাতে হাত মিলিয়ে ঢোলের তালে তালে ঝাড়ু হাতে সবাই শুরু করে নিজ শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। এভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা থেকে শুরু করে পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলতে থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। পরিচ্ছন্নতার কাজটি চলে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তবে এ কাজ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সুফিয়া নাজিম, সিনিয়র সাংবাদিক আকতারুজ্জামান, জেএম রউফ, ডা. সামির হোসেন মিশুসহ নানা শ্রেণীর-পেশার মানুষ অংশ নেয়।

এদিকে দেশে উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত বগুড়া। ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এক কালের শিল্প নগরীখ্যাত এ জেলা শহর এখন পরিণত হয়েছে শিক্ষা নগরীতে। প্রতিদিন লাখও মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকছে শহরটি। ইট-পাথরের অট্টালিকা দু’চোখের দৃষ্টিসীমাকেও যেন এখন আর পাত্তা দিতে চায় না। সড়ক-মহাসড়কে রাত-দিন চলছে হাজারও যানবাহন।

এসবের ভিড়ে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে প্রিয় এই শহর। তাই শহরটি সৌন্দর্য বর্ধনে আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু বেশি দূর এগোয়নি। এক্ষেত্রে অবশ্য অনেকেরই অসহযোগিতা ছিলো বলে জানা যায়। তাই বলে তো আর সবাই হাত গুটিয়ে থাকবেন না। কেউ না কেউ তো এগিয়ে আসবেনই। এবার জেলা প্রশাসক নিজেই মহতি এ উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়নের কাজও শুরু করে দিয়েছেন।

ইতোমধ্যেই সাতমাথা ঘিরে রাখা বিলবার্ড অপসারণ করা হয়েছে। সাতমাথার সৌন্দর্য বর্ধনে প্রত্যহ বিকেল থেকে বসা ফুচকা, চটপটি ও ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ফুটপাতে যারা ব্যবসা করছে তাদেরকে অন্যত্র ব্যবসা করার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েই শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলবে। তাই আসুন সবাই মিলে এই প্রিয় শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে কাজে সহযোগিতা করে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর শহর উপহার দেই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এমবিএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।