শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের কালিয়ারছড়ার পাহাড়ী এলাকা থেকে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
নিহত শিশু ঈদগড়ের টুঠারবিলের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং ঘাতক নুরুজ্জমা একই এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত নুরুজ্জমা নিহতের মরদেহ কোলে করে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেসময় শিশুটি পানিতে পড়ে মারা গেছে বলে প্রচারণা চালায় ওই অভিযুক্ত। পরদিন বুধবার (১১ এপ্রিল) ওই শিশুকে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়।
নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারী সম্পর্কে আমার ভাই হওয়ায় সেসময় তার কথা বিশ্বাস করে ছেলেকে পারিবারিকভাবে দাফন করি। পরে আমার ছেলের সমবয়সীরা জানায় মঙ্গলবার দুপুরে ঘাতক নুরুজ্জমা আমার ছেলেকে মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বলৎকারের চেষ্টার সময় আমার ছেলে বাধা দেওয়ায় তাকে হত্যা করে ডোবাতে ফেলে দেয়। পরে সন্ধ্যায় মরদেহ পানি থেকে নিজেই তুলে আবার আমার বাড়িতে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা জানার পর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঘাতকের বাড়ি গেলে তাকে পাওয়া য়ায়নি। পরে শুক্রবার তাকে গ্রামের গভীর জঙ্গল থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নুরুজ্জমা শিশুটিকে বলৎকারের চেষ্টা ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করবে।
মামলা হওয়ার পর আটককে আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি নিতের মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হবে। আদেশ পেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
টিটি/এসআরএস