ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

গ্যাস-পানির সঙ্কটে কুড়াতলীর বাসিন্দারা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪৯, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
গ্যাস-পানির সঙ্কটে কুড়াতলীর বাসিন্দারা স্থানীয়রা পানির লাইন পলিথিন দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: পানিতে দুর্গন্ধ, দিনে গ্যাস থাকে না আর রাতে মশার কামড়। এসব সমস্যা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে দিন পার করছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়াতলীর বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ চাকরি করতেন ব্রিটিশ ট্যোবাকো কোম্পানিতে। এখন অবসরে আছেন।

নূর মসজিদ রোডে দেখা হয় তার সঙ্গে। পানির সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গতকাল গোসল করতে পারিনি। এক সপ্তাহ যাবৎ ওয়াসার পানিতে বেশ দুর্গন্ধ।
 
এ সমস্যা কেন জানতে চাইলে ডেকে নিয়ে গেলেন কিছুদূরে। সেখানে গিয়ে দেখালেন কুড়িল বিশ্বরোড ৩০০ ফিট রোডের পাশে খাল খনন করা হচ্ছে। সেজন্য অনেক বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেসব বাড়িতে যে পানির লাইন ছিল সেগুলো এখনও বন্ধ করা হয়নি। ফলে একদিকে যেমন পানি পড়ে গিয়ে অপচয় হচ্ছে অন্যদিকে ওইসব পাইপ দিয়ে ওয়াসার লাইনে বাইরের পানি প্রবেশ করে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
 
লতিফের সঙ্গে গিয়ে দেখা গেলো অনেকগুলো পানির লাইন পড়ে আছে। স্থানীয়রা লাইনগুলো পলিথিন দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে। তবে এটা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
 
স্থানীয় বাসিন্দারা বাংলানিউজকে জানান, কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে ৩০০ ফিট সড়কের পাশ দিয়ে খাল খনন করার জন্য অনেকগুলো বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওইসব বাড়ির পানির লাইন রয়ে গেছে। আবার কোথাও ৪ ইঞ্চি পানির লাইন কেটে সরিয়ে নেওয়া হলেও খালের সীমানা পর্যন্ত কাটা হয়েছে। এটা আরও ৩/৪ ফুট দূরে নিয়ে গেলে ভালো হতো। তা করা হয়নি। ফলে সেটাও একটা সমস্যা রয়ে গেছে।
 
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, পানি, মশা আর গ্যাস তিনটারই সমস্যা আছে এই এলাকায়। আর সামনে বর্ষাকালে তো বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাবে। তখন আইসা দেইখেন এখানের মানুষ কিভাবে বসবাস করে।  
 
পাশেই সেলিমের বাড়িতে তার বোন বেড়াতে এসেছেন লালমনিরহাট থেকে। নাম জিজ্ঞাসা করতেই লজ্জা পেলেন। বললেন, আমি বেড়াতে এসেছি। গতকাল পানিতে বেশ দুর্গন্ধ পেয়েছি। এই পানি দিয়ে গোসল করা যায় না।
 
কিছুদিন আগে পানির সমস্যার জন্য নূর মসজিদ এলাকার বাসিন্দারা কুড়িল বিশ্বরোড অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু তারপরও কোনো সমাধান হয়নি বলে জানান আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, এসব সমস্যা যারা সমাধান করবে সেই ওয়াসার কোনো মানুষ তো এলাকায় আসতে দেখি না।
 
কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন ফাহিম অটোমোবাইলের কর্মচারী রহিম বললেন, সন্ধ্যার পরে মশার আক্রমনে এখানে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। শুনেছি সিটি কর্পোরেশন মশা মারতে অনেক টাকা খরচ করে, কিন্তু এদিকের মশা মারে না কেন?
 
ঢাকা ওয়াসার মডস জোন-৮ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরানুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খাল কাটার জন্য যেসব বাড়ি ভাঙা হয়েছে সবগুলো লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। আর পানিতে দুর্গন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, সব বাড়ির পানিতে তো আর দুর্গন্ধ নেই। যেসব বাড়ির পানিতে দুর্গন্ধ পাওয়া যায় সেগুলোর হোল্ডিং নম্বর জানালে আমি ব্যবস্থা নেব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
এমএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।