শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শেফালীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মোমেনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছে।
আশপাশের লোকজন সন্তানদের চিৎকারে বেরিয়ে আসে। কিন্তু অগ্নিদগ্ধ হৃদয় (৯) এর মধ্যে মারা যায়। আশপাশের লোকজন আরেক সন্তান অগ্নিদগ্ধ শিহাবকে (৭) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
হৃদয় ওই এলাকার লিবিয়া প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে। সে ৩৫ নম্বর বাড়ৈইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
পুলিশ শেফালীকে গ্রেফতার করেছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক জানান, প্রাথমিকভাবে মোমেন ও শেফালী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। হৃদয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে শেফালীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, শেফালী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মোমেন তার ছেলেকে হত্যা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৮
আরআর