এতো মোটরসাইকেলের মধ্যে কেউ খেয়াল করতে পারে না, আর তখনই দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুরির সুযোগ নেয় চক্রটি।
বুধবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ চোরাই মোটরসাইকেলসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, এই চক্রটি মাদারীপুরের শিবচর, শরীয়তপুরের ভবেরচর, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো রেখে বিক্রি করে। বিক্রির জন্য তাদের অন্য আরেকটি দল কাজ করে। আমরা গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কম দামে মোটরসাইকেল কেনার আগে সব কাগজপত্র যাচাই করে কেনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই কম দামে মোটরসাইকেল পেয়ে কিনে থাকেন। তারা সাধারণত মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করে দেখেন না। এমনটি হলে গ্রাহকরা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন।
‘কারণ আমরা যখন অনুসন্ধান করে একটি চোরাই মোটরসাইকেল খুঁজে বের করি, তখন দেখা যায় এর মালিক বলেন- আমি তো মোটরসাইকেলটি অন্য আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছি কম দামে। তখন যার কাছ থেকে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল কিনেছেন তাকে খুঁজে বের করি। এরা দুইজনই কিন্তু অপরাধী। কিন্তু মূল অপরাধী হচ্ছেন, যে চুরি করেছেন’।
বিআরটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই চক্রটি মোটরসাইকেলের নতুন নম্বর বানিয়ে বিক্রি করে। তবে চেসিসের নম্বরের সঙ্গে নম্বর প্লেটের কোনো মিল থাকে না বলেও জানান ডিবির যুগ্ম-কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিআরটিএ এর যোগসাজশের ব্যাপারটি তদন্ত করে দেখছি। আসলেই কোনো কর্মকর্তা জড়িত নাকি দালালরা হুবহু কাগজপত্র বানিয়ে চোর চক্রকে দিচ্ছে সেটি তদন্ত করে দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
পিএম/জেডএস