ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ডোবা থেকে মাছ ধরার জেরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫১, এপ্রিল ৩, ২০১৮
ডোবা থেকে মাছ ধরার জেরে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

ফরিদপুর: ফরিদপুরে একটি ডোবা থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মমতাজ বেগম (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সকালে বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের আমগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মমতাজ ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা গ্রামের ইউনুছ শেখের স্ত্রী।

মমতাজ গত সোমবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে বোয়ালমারীর ময়না ইউনিয়নের আমগাছিয়া গ্রামে ছোট বোন মনোয়ারার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।   
 
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের আমগাছিয়া গ্রামে একটি ডোবা সংলগ্ন ২৬ শতাংশ জমি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম খায়েরের সঙ্গে প্রতিবেশী রুস্তুম শেখের বিরোধ চলছিল। সকালে বাড়ির পাশে ওই জমির ডোবায় মাছ ধরতে যায় রুস্তম শেখ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় কালামের ভাই স্কুল শিক্ষক হারুন শেখ তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা করে। এ সময় রামদার কোপে মমতাজ ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন রুস্তুম শেখের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৮)। হামলাকারীরা এ সময় রুস্তমের বাড়ির গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আহত মনোয়ারাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা গেছে, এ জমি নিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর বিরোধে গত  ২০১১ সালে রুস্তুম শেখের চাচাতো ভাই কালাম নিহত হন।  

রুস্তুমের ছেলে সাইদুল শেখ অভিযোগ করেন, সকালে আমরা বাড়ির পাশের ডোবায় মাছ ধরতে যাই। এ সময় কালামের ভাই স্কুল শিক্ষক হারুন তার লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এক পর্যায়ে তারা আমাদের গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় তারা আমাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমার বড় খালা (মমতাজ) বাধা দিলে হারুন তাকে রামদা দিয়ে মাথায় একাধিক কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই খালা নিহত হন। হামলাকারীরা আমার মাকে (মনোয়ারা) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং আমার তিন বোনকেও মারধর করে। এক পর্যায়ে আমি কৌশলে পালিয়ে যাই।  

এ বিষয় জানতে কালামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রুস্তুম শেখের বাড়ির পাশে কিছু অংশ ও ডোবায় আমার ২৬ শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার জন্য তারা নিজেরা এ ঘটনা ঘটিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।  এ হামলা ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত নই।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি  মিজানুর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।