মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আঙ্গুরী আবেদীনের নাত জামাই উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের চাঁদ মোল্লার ছেলে শামীম (১৮), প্রতিবেশী আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে মিল্টন (৩২) নটাবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২২), পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা সেলিম (২৫), আব্দুস সামাদ (৩২) ও মফিকুল ইসলাম (৪২) এবং সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিউটি আকতার মহিষভাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলাম আলপুর স্ত্রী।
নাটোর জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খন্দকার আব্দুল হাই এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০১২ সালের ৯ নভেম্বর বড়াইগ্রাম উপজেলার দিয়ারপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন মেম্বারের স্ত্রী আঙ্গুরী আবেদীন বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক সংলগ্ন ফসলের জমি দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় ছেলে বনপাড়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বড়াইগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে ২১ নভেম্বর দুপুরের দিকে বাড়ির পাশের একটি কলা বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ১১জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশি তদন্তে সম্পত্তির কারণে পাঁচ সহযোগীসহ নাত জামাই শামীম তাকে হত্যা করে বলে উল্লেখ করা হয় এবং তথ্য প্রমাণ শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। পরে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮/আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা
এসআই/আরএ