মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোখলেছুর রহমান মতলব উত্তর উপজেলার চেঙ্গারচর এম এম কান্দির আব্দুর রশিদ প্রধানিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, করফুল বেগম তার নাতনি ইতি’র সঙ্গে ঘুমাতেন। ঘটনার রাত ২০১৪ সালের ৪ মে ইতি না থাকায় মোখলেছুর রহমান দাদির সঙ্গে ঘুমান। রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে দাদির সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও একটি নকিয়া মোবাইল ফোন চুরি করে দাদিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় মোখলেছুর।
পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী কুদ্দুছ প্রধানিয়ার ঘরের সামনে করফুল বেগমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সংবাদ পেয়ে মতলব উত্তর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মোখলেছুরকে সন্দেহ করে করফুল বেগমের আরেক ছেলে আফাজ উদ্দিন প্রধানিয়া ৫ মে মতলব উত্তর থানায় ৩০২/৩৭৯/৪১১ দণ্ডবিধিতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ ২০১৪ সালের ২০ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মোখলেছুরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৪ বছর মামলা চলাকালীন আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামি মোখলেছুর রহমান তার জবানবন্দীতে অপরাধ স্বীকার করায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন চুরি করার দায়ে তাকে আরো ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পিপি আমান উল্যাহ আরো জানান, বিচার চলাকালীন শেষ সময়ে ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে কারারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে চাঁদপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যায় মোখলেছুর। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন সরকার নিযুক্ত আইনজীবী মো. জয়নাল আবেদীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
আরএ